ফ্যাশন ডিজাইনার, পড়েছেন লা মার্টিনিয়ারে! কৃষ্ণনগরের ‘রানি মা’-র অতীত জানেন?

লোকসভা ভোটের মুখে চমকের পর চমক দেখেছে রাজনৈতিক মহল। চমক থাকছে বাংলাতেও। যেমন বাংলার রাজবাড়ির এক সদস্য যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। আর এই চমকপ্রদ ঘটনা ঘটেছে কৃষ্ণনগরে। কারণ সেখানকার ‘রানি মা’ এখন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।

আজ কথা হচ্ছে অমৃতা রায়কে নিয়ে। কৃষ্ণনগরে তিনি সকলের কাছে রানি মা বা রাজমাতা হিসেবেই পরিচিত। কিন্তু তাঁর পরিচয় শুধুমাত্র রানি মা নয়, তাঁর আরও পরিচয় শুনলে চমকে উঠবেন। তাঁর পরিবারের দূর দূরান্ত অবধি একসময়ে কেউ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। এছাড়া এই অমৃতা রায় একসময় ফ্যাশন ডিজাইনার অবধি ছিলেন। কী শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু এটাই সত্যি।

   

চলতি বছরের লোকসভা ভোটে তিনি কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়তে পারেন বলে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে। আর এই কেন্দ্র থেকেই তৃণমূলের হয়ে ভোটে দাঁড়াচ্ছেন মহুয়া মৈত্র। অর্থাৎ এবারে কৃষ্ণনগরে রানি মা বনাম মহুয়া হতে পারে বলে মনে হচ্ছে। যাইহোক এই অমৃতা রায় কে তা জানতে কী আপনিও ইচ্ছুক? তাহলে আপনাদের জানিয়ে রাখি, ১৯৬১ সালে জন্ম অমৃতা রায়ের। বিয়ে হয় ১৯৮১ সালে। কলকাতাতেই পড়াশোনা করেছেন তিনি। স্কুলজীবনের বেশ কিছুটা সময় কেটেছে কলকাতার বিখ্যাত লা মার্টিনিয়ার স্কুলে। পরে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোন করেন রানি বিড়লা কলেজ থেকে। এরপর স্নাতক পাশ করেন কলতাকার লরেটো হাউস থেকে। দ্বিতীয় বর্ষ পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন তিনি।

এরপর অমৃতা রায় টিচার্স ট্রেনিং কোর্স করেছিলেন। পরে কলকাতার প্র্যাট মেমোরিয়ার স্কুল থেকে মন্টেসরি কোর্সও করেন। এরপর পেশা হিসেবে বেছে নেন ফ্যাশন ডিজাইনিং-কে। রাজ পরিবারের সদস্য হয়েও বর্তমানে অমৃতা রায় ও তাঁর পরিবার কলকাতা শহরেই থাকেন। তাঁর সন্তান মনীশ চন্দ্র রায় বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী। দুর্গা পুজো থেকে শুরু করে জগদ্ধাত্রী পুজো ধুমধাম করে পালিত হয় কৃষ্ণনগরের রাজবাড়িতে। শোনা যায়, রাজবাড়ির সঙ্গে একসময় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। এবার রাজনীতির ময়দানে নেমে অমৃতা রায় কী কামাল করেন এখন সেটাই দেখার।

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর