বাঘ নয়, পশ্চিমবঙ্গের রয়েছে নিজস্ব জাতীয় পশু! নাম জানেন?

দেশের জাতীয় পশু কী? জাতীয় ফুল কী? জাতীয় খেলা কী? এই নিয়ে প্রশ্ন জেগে ওঠে সকলের মধ্যে। তবে উত্তর হয়তো অধিকাংশ মানুষই জানেন। আমাদের দেশের জাতীয় পশু যে বাঘ সেটা হয়তো সকলেই কম বেশি জানেন। আচ্ছা কিন্তু জানেন কি পশ্চিমবঙ্গের জাতীয় পশু বা রাজ্য পশু কী?

পশ্চিমবঙ্গের জাতীয় পশু কী?

এখন আপনিও ভাবছেন তো এ কেমন প্রশ্ন, বাংলার রাজ্য পশুও আছে নাকি, নিশ্চয়ই আপনার মনে প্রশ্ন জাগছে? কিন্তু উত্তর হল হ্যাঁ, বাংলারও জাতীয় পশু আছে। আর সেটা কী তা জানলে হয়তো আকাশ থেকে পড়বেন আপনি। তাহলে আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গের জাতীয় পশু হল মেছো বিড়াল। যাকে মেছো বাঘ বলেও ডাকা হয়। এই মেছো বিড়ালের ইংরেজি নাম হল ফিসিং ক্যাট। সাম্প্রতিক ২০১২ সালে এই মেছো বিড়াল কে পশ্চিমবঙ্গের জাতীয় পশু হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর বিজ্ঞানসম্মত নাম হল প্রাওনিলর্স ভেভেরিনাস।

   

এটিকে বাংলার মানুষ বাঘরোল বলে। তবে বর্তমানে এই বিশেষ প্রজাতির বিড়ালকে খুব একটা দেখা যায় না। ভারতে এমন লোক রয়েছে যারা এই বিড়ালদের রক্ষা করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে এবং তাদের মানুষের পাশে বাঁচতে সহায়তা করার উপায় খুঁজে পেতে সহায়তা করছে। এই বিড়াল প্রজাতিটি তার বেঁচে থাকার জন্য জলাজমির উপর নির্ভর করে। যদিও ভারতের মাটি থেকে এটি ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।

পশ্চিমবঙ্গে জলাভূমি দ্রুত হ্রাস পাওয়ায় এই বিড়ালের বেঁচে থাকা এক কথায় কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার অ্যান্ড ন্যাচারাল রিসোর্সেস (আইইউসিএন)-এর লাল তালিকা ২০১০ এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন, ১৯৭২ অনুযায়ী তফসিল ১ অনুযায়ী এই প্রজাতিটি ‘বিপন্ন’। লোম যুক্ত এই প্রাণীর দেহে কালো ডোরাকাটা বা ছোপ ছোপ দাগ দেখতে পাওয়া যায়।লেজ বাদে এদের শরীরের দৈর্ঘ্য ৭০ – ৮০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। এমনকি এদের গড় ওজন ৮ কেজির কাছাকাছি হতে পারে।

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর