২০২৩ সালের ১ জুলাই থেকে চার শতাংশ মহার্ঘ ভাতা (Dearness allowance) পাওয়ার জন্য রাজ্যের কর্মচারীদের (Employee) অপেক্ষা যেন আরও বেড়ে গেল। ডিসেম্বরের বেতনের পাশাপাশি মহার্ঘ ভাতার জন্য তাদের দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত দাবি মোটেও পূরণ করছে না রাজ্য সরকার। যে কারণে ক্ষোভ আরও বাড়ছে রাজ্য সরকারী কর্মীদের মধ্যে।
জানা গিয়েছে, উত্তরাখণ্ডের সরকার (Government of Uttarakhand) যানবাহন ভাতা থেকে শুরু করে ইউনিফর্ম ভাতা, শিশুর যত্ন নেওয়ার জন্য ভাতা প্রদান করেছে সরকারি কর্মীদের। এছাড়া দৈনিক মজুরিও বৃদ্ধি করেছে। তবে মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির দাবি স্থগিত রেখেছে ধামি সরকার। তবে আপনি জানলে অবাক হবেন, সরাসরি রাজ্য সরকারের অধীনে কর্মরত আড়াই লাখ কর্মচারীর DA এখনও বাড়াল না উত্তরাখণ্ড সরকার। এই মর্মে বান্ডিল বান্ডিল চিঠি অবধি জমা পড়ছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে।
শোনা যাচ্ছে, রাজ্য সরকারের কোষাগারে যাতে চাপ না পড়ে তার জন্য রাজ্যের উন্নয়ন ও নির্মাণ কাজে তহবিল জোগানের ওপর বেশি জোর দিচ্ছে সরকার।বর্ধিত মহার্ঘ ভাতা প্রদানের ফলে সরকারি কোষাগারে বছরে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এর ফলে কর্মচারীদের মাসিক সাম্মানিক ২০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০০ টাকা করা হবে। মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারকে বাজার থেকে ঋণ তুলতে হতে পারে। এখনও পর্যন্ত ২৮০০ কোটি টাকা ধার নিয়েছে সরকার।
যদিও নতুন বছরে উত্তরাখণ্ডের পুষ্কর সিং ধামি সরকার সব কর্পোরেশন, সংস্থার কর্মচারীদের চার শতাংশ বর্ধিত মহার্ঘ ভাতা উপহার দিয়েছে। এর সুবিধা শুধু পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম বেতন স্কেল গ্রহণকারী সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীই পাবেন। এর ফলে এক ধাক্কায় ১৬ শতাংশ বেড়েছে ডিএ।
পঞ্চম বেতন স্কেল গ্রহণকারী কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা ২১২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২২১ শতাংশ করা হয়েছে এবং ষষ্ঠ বেতন স্কেল গ্রহণকারী কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা ৩৯৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪১২ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে ষষ্ঠ বেতন স্কেল গ্রহণকারী কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা ২০৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২১২ শতাংশ করা হয়েছে।