প্রত্যেকদিন শেয়ার বাজারের গ্রাফ ওঠানামা করে। সেইসঙ্গে ভাগ্য নির্ধারণ হয় ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বিনিয়োগকারীদের। এই শেয়ার বাজার রাতারাতি একদিকে যেমন খুব ছোট বিনিয়োগকারীকে মালামাল করে দিতে পারে ঠিক তেমনই এই শেয়ার মার্কেট অনেক ভালো ভালো লোককে কয়েক মুহূর্তে রাস্তার ভিখারি বানিয়ে ছেড়ে দিতে পারেন। কিন্তু শেয়ার বাজারে এমন একটি স্টক রয়েছে যাকে অনেকেই ‘লক্ষ্মী’ আখ্যা দিয়েছেন।
বাজার কাঁপাচ্ছে মুকেশ আম্বানির এই স্টক
অনেকেই ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছেন এটা স্টক না টাকা ছাপার মেশিন? এখন আপনিও কি জানতে চান যে কোন স্টক এবং কার স্টক নিয়ে আলোচনা হচ্ছে? তাহলে বিশদে জানতে ঝটপট পড়ে ফেলুন আজকের এই প্রতিবেদনটি। এই স্টক আর অন্য কারোর নয়, এটি হল এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানির সংস্থা। জানা গিয়েছে, আম্বানির অলোক ইন্ডাস্ট্রিজে যারা বিনিয়োগ করেছেন তাঁদের কপাল এক কথায় খুলে গেছে।
চার বছরে এক টাকা হয়েছে ২৭ টাকা
এই ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার মাত্র চার বছরে ১ টাকা থেকে বেড়ে ২৭ টাকা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে আম্বানির এই পেনি স্টক বিনিয়োগকারীদের মাল্টিব্যাগার রিটার্ন দিয়েছে। মুকেশ আম্বানির সংস্থার এই পেনি স্টকটি অল্প সময়ের মধ্যে তার বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি মাল্টিব্যাগার হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। আমরা যদি অলোক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের স্টকে যারা বিনিয়োগ করেছিলেন তাদের প্রাপ্ত রিটার্নের দিকে তাকাই, তাহলে এটি অক্টোবর ২০১৯ থেকে প্রায় ১৮০০% মাল্টিব্যাগার রিটার্ন দিয়েছে। এই সময়ে শেয়ারের দাম প্রায় ১ টাকা থেকে বেড়ে এখন ২৭.১০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। ঠিক চার বছর আগে অর্থাৎ ২০ মার্চ ২০২০ তারিখে এই স্টকের দাম ছিল প্রায় ৫ টাকা।
১০০০০ হয়ে গিয়েছে দুই লক্ষ
অলোক ইন্ডাস্ট্রিজের স্টক থেকে বিনিয়োগকারীদের প্রাপ্ত রিটার্নের এই পরিসংখ্যান অনুসারে, যদি কোনও বিনিয়োগকারী ২০২০ সালের মার্চ মাসে এই স্টকটিতে মাত্র ১০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করতেন এবং এতদিন ধরে রাখতেন, তবে তাঁর বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়ে এখন প্রায় ২ লক্ষ টাকা হত। এই স্টকটি কেবল চার বছরে নয়, মাত্র এক বছরে তার বিনিয়োগকারীদের অর্থ দ্বিগুণ করার জন্য কাজ করেছে। গত এক বছরের পারফরম্যান্সের দিকে তাকাই, অলোক ইন্ডাস্ট্রিজ শেয়ার ১১৮.৫৫% রিটার্ন দিয়েছে এবং শেয়ারের দাম ১৪.৭০ টাকা বেড়েছে। অর্থাৎ এক বছরে এই শেয়ারটি এক লাখ টাকা বিনিয়োগকারীকে দুই লাখে রূপান্তরিত করেছে। বিগত ছয় মাসে এই পেনি স্টকের দাম ৪০ শতাংশ বেড়েছে। তবে গত কয়েকদিন ধরেই তা কমছে। মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, কোম্পানির স্টক ২.১৭ শতাংশ কমে ২৭.১০ টাকায় বন্ধ হয়েছে।
