বলিউড ও টলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে (Mithun Chakraborty) আলাদা করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার দরকার পড়ে না। তিনি মহাগুরু, তিনি বাংলার আরেক দাদা। বহু সুপারহিট ছবিতে কাজ করেছেন এই অভিনেতা। ক্যারিয়ারে অসংখ্য সুপারহিট ছবিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সম্প্রতি টেলিভিশন শো ‘সা রে গা মা পা’-তে অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন মিঠুন। এসময় নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনেক কথা বলেছেন অভিনেতা।
নিজের প্রেম জীবনের গল্প শেয়ার করলেন মিঠুন চক্রবর্তী ‘সা রে গা মা পা’-তে এক প্রতিযোগী এমন আবেগঘন পারফরম্যান্স করলেন যে তাঁর অভিনয় দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন মিঠুন চক্রবর্তী। রিঙ্কুর অভিনয় দেখার পর নিজের লাভ লাইফ নিয়ে অনেক কথা বলেন অভিনেতা। মিঠুন বলেন, তিনি একটি মেয়েকে খুব ভালোবাসতেন। সে সময় তার কোনো নাম ও খ্যাতি ছিল না। এ অবস্থায় তিনি ওই সময় তাদের ছেড়ে চলে যান।
মিঠুন চক্রবর্তী তার প্রেমের গল্প বলতে গিয়ে আরও বলেন, “এটি আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময় ছিল। সেই সময় আমি কী করব বুঝতে পারছিলাম না। আমি প্রেমে পড়েছিলাম, সেই সময় সে আমাকে ছেড়ে চলে যায়। এমন পরিস্থিতিতে আমি একেবারে ভেঙে পড়েছিলাম। ওই মুহূর্তে আমার পুরো জীবনটাই বদলে গেল। দীর্ঘদিন কী করব বুঝতে পারছিলাম না। ”
শুধু হিন্দি নয়, বাংলা ও ওড়িয়া ভাষার ছবিতেও কাজ করেছেন মিঠুন। মিঠুন চক্রবর্তীও এক সময় যোগিতা বালির সঙ্গে ডেট করতেন। ১৯৭৯ সালে বিয়ে করেন দু’জনে। যোগিতাকে বিয়ে করার আগে মিঠুন চক্রবর্তী অভিনেত্রী হেলেনা লুককে বিয়ে করেছিলেন। তবে দুজনের বিয়ে টিকেছিল মাত্র ৪ মাস। ৪ মাস পর তাদের সম্পর্কে ফাটল ধরতে শুরু করে। এরপর চার মাসের মাথায় দুজনের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
শুধু মিঠুন নয়, মিঠুনের দ্বিতীয় স্ত্রী যোগিতারও ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে। যোগিতা ছিলেন কিশোরের তৃতীয় স্ত্রী। যোগিতা কিশোরের চেয়ে ২০ বছরের ছোট ছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে সব জানার পরেও যোগিতা কিশোরকে বিয়ে করেন। তবে বিয়ের দুই বছর পর দুজনেই একে অপরের থেকে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।