ভারতীয় রেলকে (Indian Railways) দেশের মেরুদন্ড বলা হয়। আর সাধেই কিন্তু তা বলা হয় না। প্রত্যেকদিন কয়েক লক্ষ মানুষ দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়ার জন্য ভারতের রেল ব্যবস্থার উপর চোখ বন্ধ করে ভরসা করেন। কেউ ট্রেনে যান কাজের তাগিদে তো কেউ যান ঘুরতে যাবার জন্য। অনেকেই আছেন যারা বাস বা বিমান ছেড়ে ট্রেনে ভ্রমণ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন।
ভারতীয় রেলে ভ্রমণ যেমন এখন আরও আরামদায়ক হয়ে উঠেছে তেমনি এই ট্রেনে ভ্রমণ পকেট ফ্রেন্ডলি। অবশ্য সেটা মানুষের উপর নির্ভর করে যে তারা ট্রেনের কেমন ক্লাসে যাতায়াত করবেন। মানুষের সুখ সুবিধার কথা মাথায় রেখে ভারতীয় রেলের তরফে একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়েই চলা হচ্ছে। কখনো উন্নত ট্রেন আনা হচ্ছে তো কখনও রেল স্টেশন গুলির চেহারাই আমূল বদলে দেওয়ার কাজ করছে ভারতীয় রেল।
যদিও এরই মাঝে ভারতীয় রেল এমন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা দেখে এবং শুনে সকলেই চমকে উঠেছেন। জানা গিয়েছে, বাহরাইচ-নানপাড়া-নেপালগঞ্জ রোড মিটার গেজ বিভাগ, যা লখনউ বিভাগের ১৩৮ বছর আগে ১৮৮৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর শুরু হয়েছিল, এখন রেলওয়ে দ্বারা ব্রডগেজে রূপান্তরিত হতে চলেছে।
১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ব্রডগেজের জন্য এই রেললাইনে ট্রেন চলাচলের জন্য বন্ধ থাকবে। শুক্রবার বিকেল ৩টের সময়ে বাহরাইচ রেলওয়ে স্টেশনে ১৪০ জন যাত্রী, মিটারগেজ লাইনে চলা শেষ ট্রেন ০৫৩৫৯ বাহরাইচ-নানপাড়া-নেপালগঞ্জ রোড স্পেশাল প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে গন্তব্য স্টেশনের দিকে চলে যায়। এ সময় মিটার গেজ রেল সেকশন বাহরাইচ, নানপাড়াসহ অন্যান্য স্টেশনের রেল যাত্রীরা এই বিশেষ যাত্রীবাহী ট্রেনের শেষ যাত্রার সোনালী স্মৃতি সংরক্ষণে নিয়োজিত ছিলেন।
উপস্থিত ছিলেন লোকো পাইলট রাজ কুমার ভার্মা, অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট গণেশ কুমার এবং গার্ড রমন কুমার পাঠক। উত্তর-পূর্ব রেলের গোরক্ষপুরের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক পঙ্কজ কুমার সিং জানিয়েছেন, ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে এই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।