বিতর্ক যেখানে সংগীতশিল্পী রূপঙ্কর বাগচী যেন সেখানে। কেকে-কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, সেই ক্ষত যেন আজও তরতাজা হয়ে রয়েছে। মাঝখানে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গেলেও কেকে সম্পর্কে রূপঙ্কর বাগচীর করা মন্তব্য এখনো মানুষ ভুলতে পারেননি। এসবের মাঝে ফের একবার শিরোনামে উঠে এলেন এই বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী। যে কারণে মানুষ ফের একবার তাঁকে নিয়ে ছিঃ ছিঃ করতে শুরু করে দিয়েছেন।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হসিবহে দ্রুত গতিতে। বর্তমান সময়ে খারাপ হোক বা ভালো, কোনো ভিডিও বা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে একদমই সময় নেয় না। এক্ষেত্রেও তেমনই হল। আর ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে রূপঙ্কর বাগচীকে। এখন আপনিও নিশ্চিয়ই ভাবছেন যে এই ভিডিওতে কী এমন রয়েছে যাকে ঘিরে মানুষ রূপঙ্কর সম্পর্কে যা নয় তাই করে কথা বলছেন? তাহলে বিস্তারিত জানতে ঝটপট পড়ে ফেলুন প্রতিবেদনটি।
দেবারতী দেবী নামক একটি ফেসবুক প্রোফাইল থেকে একটি ভিডিওকে ঘিরে তোলপাড় হয়ে গিয়েছে। ভিডিওর ক্যাপশন বক্সে ভয়ানক অভিযোগ এনেছেন তিনি। সরকারি কার্যালয়ে গিয়ে অশ্লীল কথাবার্তা বলার পাশাপাশি জোর জুলুম করার অভিযোগ এনেছেন ঐ মহিলা। এখন আধার কার্ড নিয়ে মাতামাতির শেষ নেই। আর এই আধার কার্ড সংক্রান্ত কাজ করতে রূপঙ্কর বাগচী ও তাঁর স্ত্রী আধার কার্ড অফিসে গিয়েছিলেন।
অভিযোগ, আধার অফিসে গিয়ে নাকি বাগচী দম্পতি দাবী করেন, তাদের কাজ আগে আগে করে দিতে হবে। যদিও সরকারি অফিসের কর্মচারীরা তা করতে অস্বীকার করেন। অফিসারদের বক্তব্য ছিল, যেহেতু আগে থেকে যারা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আগে তাদের কাজ সম্পন্ন করা হবে তারপরেই রূপঙ্কর এবং তার স্ত্রীয়ের কাজ করে দেওয়া হবে। আর তাতেই নাকি সমস্যার সূত্রপাত হয়।
ঘটনাস্থলে থাকা একজন জানান, রূপঙ্কর বাগচীর চৈতালি দেবীর বক্তব্য অনুযায়ী “মুড়ি মুড়কি এক করলে চলবে না, বুঝতে হবে কাকে আগে করতে হবে”। এরপর দেবারতী নামের ওই মহিলা ফেসবুকে গোটা ঘটনার ভিডিও পোস্ট করে লেখেন, ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘অহঙ্কারবশত বাগচিবাবু ভুলে যান যে উনি একজন কর্তব্যরত সরকারী কর্মচারীর সাথে কী ব্যবহার করছেন, তাই ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাবে বলেন “F*** you” তারপর আমরা সকল কর্মী এবং সেখানে উপস্থিত কিছু কাস্টমারেরা সম্মিলিত ভাবে জোর গলায় ওনার “unparliamentary” শব্দবন্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে বাগচিপত্নী স্বামীকে বগলদাবা করে পিছু হটতে বাধ্য হন।’
এদিকে এই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে একজন ইউজার লিখেছেন, ‘আমার একটাই কথা এই গায়ক মহাশয় এতোটা স্পর্ধা পান কোথা থেকে? গায়ক / গায়কপত্নী হয়ে সুবিধা নিয়ে চলে যাবো, এটা ভাবেন কোন আক্কেলে?’