অ্যাকাউন্ট শূন্য, ATM থেকে উঠল লক্ষ লক্ষ! ৩২৩ কোটির ক্ষতি দেশের সবথেকে বড় ব্যাঙ্কের

ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট করে সেখানে টাকা রাখার স্বভাব বেশিরভাগ মানুষের। আপনারও কি এই স্বভাব রয়েছে? যাইহোক, অনেকেরই যখন টাকার দরকার পড়ে তখন সবসময় ব্যাঙ্কে যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। সেক্ষেত্রে অনেকেই ATM-র দ্বারস্থ হয়। কিন্তু কখনও কি শুনেছেন যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মাত্র কয়েক হাজার টাকা পড়ে রয়েছে অথচ তুলতে গিয়ে কয়েক লাখ টাকা উঠে এল! শুনে অবিশ্বাস্যকর মনে হচ্ছে তো?

এক ধাক্কায় প্রায় ৩২৩ কোটি টাকা তোলা হয়েছে ব্যাঙ্ক থেকে, যে কারণে চোখ কপালে উঠে গিয়েছে সকলের। আসলে এবার বড় ধরনের সাইবার হামলার শিকার হয়েছে ইথিওপিয়ার সবচেয়ে বড় ব্যাংক কমার্শিয়াল ব্যাংক অব ইথিওপিয়া (CBE)। এই সাইবার হামলায় ব্যাংকের বিভিন্ন হিসাব থেকে ৪০ কোটি মার্কিন ডলার উধাও হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে ব্যাংকের কর্মকর্তারা ও স্থানীয় পুলিশ এই টাকা ফেরত আনার চেষ্টা শুরু করেছে। যদিও এত টাকা ফিরিয়ে আনা মোটেই মুখের কথা নয়।

   

একাধিক রিপোর্ট বলা হয়েছে, ব্যাঙ্কটির সার্ভারে সাইবার হামলা হয়েছে। কেউ সিস্টেম হ্যাক করে এবং তারপরে লোকেরা লিমিটের থেকে বেশি টাকা তুলতে শুরু করে। শনিবার (১৮ মার্চ) সকালে CBE-র গ্রাহকরা দেখতে পান, তারা তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে জমার চেয়ে বেশি টাকা তুলতে পারছেন। আর এরকম সুযোগ কেউ হাতছাড়া করতে চায়নি স্বাভাবিকভাবেই। অনেকেই আছেন যারা মোটা অঙ্কের টাকা তুলে নিয়ে চলে গিয়েছেন। এবার সেই টাকা ফেরত আনতে ব্যাঙ্কের কর্মীদের যে কালঘাম ছুটে যাবে তা বলাই বাহুল্য।

ইতিমধ্যে ইথিওপিয়ার ব্যাঙ্কটি এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে এবং জানিয়েছে যে সমগ্র বিষয়টি একটি ‘সিস্টেম ত্রুটি’। তবে ব্যাংকটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনও ধরনের হস্তক্ষেপ করা হয়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ। পুলিশের ধারণা, এ ঘটনার পেছনে হাইটেক কোনো অপরাধীর হাত থাকতে পারে।

ত্রুটির কারণে কয়েক ঘণ্টা লেনদেন বন্ধ রাখতে হয়। ব্যাঙ্কটির প্রেসিডেন্ট আবে ন্যানো বলেছেন, যারা অন্যায়ভাবে অর্থ ফেরত দিয়েছে তাদের ফৌজদারি বিচারের মুখোমুখি করা হবে না। পুলিশের উদ্ধৃত এক রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে যারা তাদের অ্যাকাউন্টে থাকা পরিমাণের চেয়ে বেশি অর্থ উত্তোলন করেছেন তাদের অর্থ ফেরত দেওয়া উচিত। যারা টাকা ফেরত দেবে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর