গোটা বিশ্বে বাজল ডঙ্কা! চিনের জায়গা ছিনিয়ে নয়া নজির গড়ল ভারত

ফের একবার চিনকে ধাক্কা দিল ভারত। এবার চিনকে আউট করে সেই জায়গায় ধীরে ধীরে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে দিয়েছে ভারত। হ্যাঁ শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। বিগত ৮ বছর আগে চিন যে জায়গায় ছিল এখন সেই জায়গাটা ধীরে ধীরে নিতে শুরু করে দিয়েছে। আর এই ব্যাপারটি যে চিন ভালোভাবে দেখছে না সেটা বলাই বাহুল্য।

এমনিতে আমেরিকাকে বলা হয় ওয়ার্ল্ড ব্রেইন। কারণ টেক হাব হল এই আমেরিকা। ধরুন স্মার্টফোন ভারতে তৈরি হয়, তাহলে তার রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্থাৎ (আরঅ্যান্ডডি) আমেরিকায় হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্মার্টফোনের ডিজাইন এবং বাকি কাজের পরে, এটি চুক্তিবদ্ধ ম্যানুফ্যাকচারিং সারা বিশ্বে তৈরি করা হয়। iPhone-র কথাটাই ধরা যাক। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডিজাইন করা হয়, তবে এর উৎপাদন চীন ও ভারতে যায়। তবে প্রায় ৮ বছর আগে পর্যন্ত স্মার্টফোন উৎপাদনে চীনের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল। অর্থাৎ সারা বিশ্বে যত স্মার্টফোন বিক্রি হয়, তার বেশিরভাগই তৈরি হয় চীনে। সস্তা শ্রম এবং সস্তা কাঁচামালের সহজলভ্যতার কারণে এটা হয়েছিল।

স্মার্টফোন রফতানিতে নয়া নজির ভারতের

   

তবে এবার এই জায়গাটা ছিনিয়ে নেওয়ার কাজে লিপ্ত হয়েছে ভারত বলে মনে হচ্ছে। স্মার্টফোনের স্থানীয় উৎপাদন বাড়িয়ে ভারত রফতানির ক্ষেত্রে একটি বড় জায়গা হয়ে উঠছে। এপ্রিল-ডিসেম্বর সময়ে স্মার্টফোন রফতানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ লাখ ৩০ হাজার ডলারে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৯৯ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এতে ভারতের অংশ প্রায় ৭.৭ শতাংশ। আমরা যদি আমেরিকার কথা বলি, তাহলে ভারত আমেরিকার তৃতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন রফতানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে। ভারতে স্মার্টফোন উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় রফতানি বেড়েছে মারাত্মকভাবে।

সেখানে চীনের মোবাইল রফতানির কথা যদি বলা হয়, তাহলে ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মোবাইল রফতানি হয়েছে ৩৫.১ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছর ছিল ৩৮.২৬ বিলিয়ন ডলার।

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর