ভিখারি থেকে রাজা! ২৮ টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করে আজ লাখপতি নন্দীগ্রামের ভিক্ষুক

কিছু কিছু মানুষের জীবন সংগ্রামের কাহিনী শুনলে চোখে জল চলে আসবে যে কারোর। আবার কিছু কিছু মানুষের কাহিনী শুনলে চমকে উঠতে বাধ্য হন অনেকে। আজ এই প্রতিবেদনে তেমনই একজন মানুষকে নিয়ে আলোচনা হবে যার গল্প শুনলে মাথা ঘুরে যেতে পারে আপনারও। এমন একজন ব্যক্তি যিনি কিনা দু’বেলা তো অতীত, এক বেলা পেট ভরে খাবার জুটবে কিনা সেই নিয়ে চিন্তার শেষ থাকতো না। রাস্তার ভিখারি হয়ে এখানে সেখানে ঘুরে বেরাতেন আজ সেই ব্যক্তিই কিনা দু হাত ভরে টাকা উপার্জন করছেন। কী শুনে চমকে গেলেন তো ? কিন্তু চমকের এখন আরও অনেক কিছু বাকি আছে।

পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের সোনাচূড়ার বাসিন্দা জয়দেব মুনিয়ার গল্প যে কোনও সিনেমার স্ক্রিপ্টকেও হার মানাবে বৈকি। তাহলে আসুন পড়ে নিন জয়দেব মুনিয়ার জীবন সংগ্রামের কাহিনী। এক সময়ে তিনি নন্দিগ্রামের রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষাগিরি করে জীবন অতিবাহিত করতেন। কিন্তু এখন তিনি একজন সফল মাছ ব্যবসায়ী। হাতে রয়েছে পচুর টাকা।

   

জানা যায়, ছোট থেকেই নাকি রাস্তায় ভিক্ষুক হয়ে টাকা উপার্জন করতেন জয়দেব। এরপর নন্দীগ্রাম থেকে কলকাতায় আসেন ভাগ্য ফেরাতে। কলকাতায় এসে অন্যের বাড়িতে পরিচারকের কাজ করা শুরু করেন। পেটে খিদে তো মিটেছিল কিন্তু মনে সন্তুষ্টি ছিল না। এরপর এক মাছ বিক্রেতার সঙ্গে পরিচয় হয়। তাঁর মাছের আড়ত থেকে এনে দিত। এতে কিছু টাকা মিলত, সেই থেকে মাছ বিক্রির ব্যাপারটা আয়ত্ব করতে শিখে নেন জয়দেব। তারপর মাত্র ২৮ টাকা নিয়ে মাছ ব্যাবসা শুরু করেন তিনি। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি জয়দেবকে।

এরপর ফের কলকাতা থেকে নন্দীগ্রামে ফিরে আসেন জয়দেব। নন্দীগ্রাম সোনাচূড়া গ্রামে এসে মাছ বিক্রি করে মাছের ব্যবসা চালিয়ে জমিজমা কেনা ও বাড়ি তৈরি করেন বলে খবর। জয়দেব মুনিয়া ‘নিউজ ১৮ বাংলা’র মুখোমুখি হয়ে জানান, মাছ বিক্রি থেকেই তিন মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। নন্দীগ্রাম-১ ব্লক মৎস্যচাষ সম্প্রসারণ আধিকারিকের সহযোগিতায় ব্যবসায় আরও লাভবান হয়েছেন।

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর