গুমোট গরমের মাঝেই ধেয়ে আসছে শক্তিশালী সাইক্লোন! আছড়ে পড়বে ১৬৫ কিমি বেগে

ভরা চৈত্র মাসে বাংলার আবহাওয়ার কোনওরকম ঠিক ঠিকানা নেই। এই সময়েও বাংলায় ব্যাপক ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে। দোসর হয়েছে বজ্রবিদ্যুৎও। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, একদিকে ঘূর্ণাবর্ত অন্যদিকে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে, যে কারণে বাংলার আবহাওয়া দফায় দফায় মুড বদল হচ্ছে। তবে এরই মাঝে আবহাওয়া নিয়ে এক ভয়ানক তথ্য দিলো হাওয়া অফিস, যা শুনে আপনারও পিলে চমকে যেতে পারে।

জানা গিয়েছে এবার ভারত মহাসাগরে ফুঁসছে একটি ভয়ানক ঘূর্ণিঝড়। এই ঘূর্ণিঝড়ে দাপটে চোখের নিমিষে লন্ডভন্ড হয়ে যেতে পারে সবকিছু। ভারত মহাসাগর এ যে ঘূর্ণিঝড় তার সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১৬৫ কিলোমিটার বেগে হতে পারে বলে খবর। এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম কী? তাহলে বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটিতে।

   

হাওয়া অফিসের বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন ভারত মহাসাগরে যে ঘূর্ণিঝড়টি ফুঁসছে তার নাম হলো ‘ন্যাভেল’। আপনার মাথাতেও নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগছে যে বাংলায় কি এই ঝড়ের প্রভাব পড়বে? আর প্রভাব পড়লেও কত বেগে আছড়ে পড়বে? তাহলে জানতে ঝটপট পড়ে ফেলুন আর্টিকেলটি। গত দুই সপ্তাহ ধরে অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে ক্রান্তীয় নিম্নচাপ হিসেবে ঘোরাফেরা করার পর অবশেষে ভারত মহাসাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ন্যাভেল।

অস্ট্রেলিয়ার ষষ্ঠ ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় হিসেবে ন্যাভেল মৌসুমের ষষ্ঠ ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে এটি শক্তিশালী হয়ে ক্যাটাগরি ৩ মাত্রার ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে, এটি আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৬৫ কিলোমিটার।

যদিও এই ভয়ানক ঘূর্ণিঝড়টি কোথায় এবং কবে আছে পড়বে সে বিষয়ে ধন্ধে রয়েছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা। স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় ঝড়ের গতি থাকবে ১৬৫ কিমি বা তার আশেপাশে। এছাড়া স্বস্তির বিষয়, ‘ন্যাভেল’ ভারত মহাসগারেই ৮০০ কিলোমিটার যাত্রা করে মিলিয়ে যেতে পারে। ফলে এর প্রভাব বাংলা বা অস্ট্রেলিয়া উপকূলে কোথাও পড়বে না বলে আশা করা যাচ্ছে।

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর