সুন্দরবনে খাঁটি সোনা, ১৯টি মাছ বিক্রি করে যত টাকা পেলেন মৎস্যজীবীরা! শুনে আঁতকে উঠবেন

নদীতে (River) নেমে এক কথায় মালামাল হয়ে গেল সাধারণ মৎস্যজীবীরা (Fisherman)। কেউ হয়তো ভাবতেও পারেননি যে এমনটা হবে। আর পাঁচটা সাধারণ দিনের মতো শনিবারও মাঝ নদীর উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা। এদিকে মালঞ্চ নদীতে (Malancha River) জাল ফেলতেই সকলের চোখ এক কথায় ছানাবড়া হয়ে যায়।

এরপর বিপুল পরিমাণে মাছ ভেড়িতে নিয়ে যেতে আবারও একবার অবাক হওয়ার পালা ছিল মৎস্যজীবীদের। জানা গিয়েছে, বিগত শনিবার একাধিক রকমের মাছ বিক্রি করে কয়েকজন মৎস্যজীবী পেলেন কড়করে ৩ লক্ষ ৫৩ হাজার টাকা। কী শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু এটাই একদম সত্যি।

   

আসলে সম্প্রতি বাংলাদেশের (Bangladesh) সুন্দরবন (Sundarbans) এলাকার সাতক্ষীরা (Satkhira) রেঞ্জের মান্দারবাড়ীয় মালঞ্চ নদীতে মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ে ৭টি জাভা মাছসহ মোট ১৯টি মাছ। আর এই মাছগুলি বিক্রি হয়েছে এক ধাক্কায় তিন লাখ ৫৩ হাজার টাকায়। এত পরিমাণে টাকা পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি সকলে। খোলপেটুয়া নদীর নীলডুমুর খেয়াঘাটে বাজারে মাছটি বিক্রি করা হয়।

বিগত ১৫ ফেব্রুয়ারি বনবিভাগ থেকে পাস নিয়ে দুইটি নৌকায় সুন্দরবনে মাছ ধরতে যায় শ্যামনগর উপজেলার পারশেমারি গ্রামের বারিক খাঁ, শহিদুল ইসলামসহ মোট ১০ জন মৎস্যজীবী। এরপর ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মালঞ্চ নদীতে তার জালে ধরা পড়ে দুটি জাভা ভোল মাছ ও ১০টি মেদ মাছ। মাছগুলো বরফ দ্বারা সংরক্ষণ করে শনিবার সকালে শ্যামনগরের নীলডুমুর খেয়াঘাটে আনার পর নিলামে বিক্রি হয় ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকায়। মাছগুলো নিলামে কিনে নেন উপজেলার কলবাড়ি এলাকার মাছ ব্যবসায়ী আবদুস ছাত্তার। মাছ বিক্রির অর্থটি ১০ জন জেলের মধ্যে ভাগাভাগি হবে বলে জানা গেছে।

java fish

থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুরে এই বিখ্যাত জাভা মাছের ব্যাপক চাহিদা আছে। এই মাছ নাকি জীবনদায়ী বলে দাবি অনেকের। স্থানীয় মাছ ব্যসায়ীদের মতে, জাভা মাছ পাওয়া বড়ই কঠিন। এ মাছের ফুলকা অত্যন্ত মূল্যবান। ওষুধ তৈরিতে মাছটির ফুলকার কার্যকারিতা রয়েছে।

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর