দীর্ঘ প্রতীক্ষিত তিনটি মেট্রো রুট পেয়েছে শহর। হাওড়া ময়দান-এসপ্ল্যানেড আন্ডারওয়াটার মেট্রো, নিউ গড়িয়া-রুবি, জোকা-তারাতলা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত সম্প্রসারণ হয়েছে মেট্রো। শুধু তাই নয়, আগামী ১৫ মার্চ থেকে যাত্রী সাধারণের জন্যে এই তিন মেট্রো রুটের দরজা খুলে যাবে। তবে এরই মাঝে একটা প্রশ্ন বারবার উঠে আসছে, আর সেটা হল কবে থেকে শিয়ালদহ-ধর্মতলা মেট্রো পরিষেবা শুরু হবে?
বর্তমানে কিছু জটের কারণে আটকে আছে এই মেট্রো রুটের কাজ। কবে এই জট কাটবে সেটা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। তবে আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে এই মেট্রো রুটের মধ্যে কোন জিনিসটি গলার কাঁটার মতো বিঁধছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের? তাহলে বিস্তারিত জানতে ঝটপট পড়ে ফেলুন এই প্রতিবেদনটি। মেট্রো রেলের তরফে শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেড এর মধ্যে মোট আটটি ক্রস প্যাসেজ তৈরি করার সিদ্ধান্ত হয়। ইতিমধ্যে সুরঙ্গের এসপ্ল্যানেড এর দিকে চারটি ক্রস প্যাসেজ তৈরি হয়ে গিয়েছে নির্বিঘ্নে। হাতে রইল চারটি ক্রস।
আর এই বাকি চারটি ক্রস নিয়েই সকলের চিন্তার শেষ নেই বলে মনে হচ্ছে। এই বিষয়ে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট দিয়ে সকলকে চমকে দিয়েছে KMRCL। শনিবার KMRCL কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, শিয়ালদহের দিকে থাকা ১ এবং ৩ নম্বর ক্রস প্যাসেজ তৈরি করতে গেলে বড়সড় বিপদ ঘটে যেতে পারে। আশঙ্কা করা হচ্ছে কাজের সময় ভূ-গর্ভ থেকে জল বেরিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কর্মরত ইঞ্জিনিয়াররা। খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হলেই হতে পারে বড় অঘটন। ফলে এখনও বিশ বাঁও জলের মধ্যে রয়েছে শিয়ালদহ-ধর্মতলা মেট্রো পরিষেবা।
সম্প্রতি কেএমআরসিএলের অন্তর্গত নির্মাণকারী সংস্থার কর্মীরা ভয়ঙ্কর ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলেন। এই ৪টি ক্রস প্যাসেজে গ্রাউটিংয়ের নিচের দিকে কাজ করছিলেন, সেই সময় খোঁড়াখুঁড়িতে আচমকা জল বেরিয়ে পড়ে। ফলে কাজ বন্ধ রাখতে হয়। বর্তমানে মদন দত্ত লেনে যে বিপর্যয় হয়েছে, সেই এলাকার নিচে রয়েছে ২ নম্বর ক্রস প্যাসেজটি। এখানেই সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিয়েও এবং পলিউথিরিনের মতো গুণমান সম্পন্ন কেমিক্যাল ব্যবহার করেও জলস্রোত রোখা সম্ভব হচ্ছে না। যে কারণে এই ১ এবং ৩ নম্বর ক্রস প্যাসেজ কিভাবে তৈরি করা সম্ভব হবে তা নিয়ে রীতিমতো দুশ্চিন্তায় রয়েছে সকলেই।