ধারের টাকায় বিমানের টিকিট কিনে হকি দলকে চীন পাঠাল পাকিস্তান, লজ্জায় মাথা হেঁট সরকারের

Koushik Dutta

Published on:

ধারের টাকায় বিমানের টিকিট কিনে হকি দলকে চীন পাঠাল পাকিস্তান, লজ্জায় মাথা হেঁট সরকারের

কলকাতাঃ ১৯৬০ সালের রোম অলিম্পিকে পাকিস্তান হকিতে প্রথম স্বর্ণপদক জিতেছিল। এরপর হকিকে পাকিস্তানের জাতীয় খেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জিতে পাকিস্তান দল দেশে ফেরার পর করাচিতে চ্যাম্পিয়ন দলকে স্বাগত জানিয়েছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেনারেল আইয়ুব খান। এরপর একটি সম্বর্ধনা তিনি হকিকে পাকিস্তানের জাতীয় খেলা হিসেবে ঘোষণা করেন আনুষ্ঠানিকভাবে। কিন্তু পাকিস্তানের সেই গর্বের হকি’র এখন যা অবস্থা, তা জানলে কেউ কারো খারাপ লাগবে।

আগামী ৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে হকির এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে ইতিমধ্যে চীনে পৌঁছে গিয়েছে পাকিস্তানের হকি দল। কিন্তু বর্তমানে পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতি ও দারিদ্র্যতার একটা সুস্পষ্ট ছাপ এবার সেই দেশের হকি দলের উপর দেখা গেল। এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করার জন্য পাকিস্তান দলের খেলোয়াড়দের নাকি ধার করে বিমানের টিকিট কিনে চীনে পাঠিয়েছে বোর্ড। এই খবর সামনে আসার পর থেকেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে চরম নিন্দার ঝড় উঠেছে পাকিস্তানকে ঘিরে।

ধার করে বিমানের টিকিট কিনে চীনে গেলেন পাক খেলোয়াড়রা

সম্প্রতি, আন্তর্জাতিক মাধ্যমের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে পাকিস্তান হকি দল এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৪-এ অংশগ্রহণ করতে চীনে যাওয়ার জন্য বিমানের টিকিট ধার করেছে। এরপর থেকেই ভক্তদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয় পাকিস্তান হকি ফেডারেশনকে। পাকিস্তান হকি ফেডারেশনের সভাপতি তারিক বুগতি একটি সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা করেছেন যে এই টিকিটের টাকা শীঘ্রই পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, তারিক বুগতি হকির জন্য একটি আলাদা তহবিল চালু করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের কাছে আবেদনও করেছেন।

শীঘ্রই খেলোয়াড়দের টাকা দেওয়া হবে

পাকিস্তান হকি ফেডারেশনের সভাপতি তারিক বুগতি আরো বলেছেন, “এটি প্রথমবার নয়, এটি পাকিস্তান ক্রীড়া বোর্ডের পুরানো মনোভাব। হকি পাকিস্তানের জাতীয় খেলা। এ দিকে বিশেষ নজর না দিলে খেলাটি নষ্ট হয়ে যাবে। আমাদের দুর্ভাগ্য হকি ফেডারেশনের নিজস্ব মাঠও নেই। খেলোয়াড়দের যখন খেলতে হয়, আমরা পাকিস্তান স্পোর্টস বোর্ডকে চিঠি লিখি।” পাকিস্তান স্পোর্টস বোর্ডের আধিকারিক মহম্মদ শহিদ জানিয়েছেন, “শীঘ্রই এই টাকা পরিশোধ করা হবে। খেলোয়াড়দের যাতায়াতের জন্য মোট খরচ হয়েছে প্রায় ২.৫০ কোটি পাকিস্তানি রুপি।”

খেলোয়াড়দের প্রতি বরাবর উদাসীন পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের এই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে জাতীয় হকি দলের সম্পূর্ণ খরচ দেওয়ার আগে পাকিস্তান স্পোর্টস বোর্ড অনূর্ধ্ব-১৮ বেসবল দলকে টাকা দিতে অস্বীকার করেছিল। একই সময়ে প্যারিস অলিম্পিক-২০২৪-এ পাকিস্তানের হয়ে স্বর্ণপদক জয়ী আরশাদ নদিমকেও কম টাকা দেওয়া হয়েছিল।

Share This ➥