lakshmir bhandar kunal ghosh লক্ষ্মীর ভান্ডার, কুণাল ঘোষ

Indiahood Desk

‘ফেরতের ফর্ম ফিল আপ করুন!’ লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ

কলকাতাঃ আরজি করে মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে উত্তাল গোটা বাংলা। প্রতিদিনই চলছে আন্দোলন, বিক্ষোভ। চারিদিকে চলা বিক্ষোভের জেরে ব্যাকফুটে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আর এরপর থেকেই তৃণমূলের সমর্থক, নেতা, কর্মীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালাচ্ছেন যে, সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হলে লক্ষ্মীর ভান্ডার ছাড়ুন আগে। স্পষ্টত তৃণমূলের সমর্থক, নেতা, কর্মীরা লক্ষ্মীর ভান্ডার বা রাজ্য সরকারের অন্যান্য প্রকল্পের সুবিধা নেওয়া মানুষদের নিশানা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে নেমেছেন। যদিও, তাঁদের এই বিরূপ প্রচারের পরেও প্রতিবাদ একফোঁটাও দমেনি।

ওদিকে, পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ দমনের অভিযোগ উঠেছে। বিরোধীরা অভিযোগ করে বলেছেন যে, পুলিশ ইচ্ছে করে সাধারণ মানুষকে মিছিলের অনুমতি দিচ্ছে না। বলে দিই, আরজি কর মামলা সুপ্রিম কোর্টে ওঠার পর শীর্ষ আদালত রাজ্য পুলিশ এবং রাজ্য সরকারকে ভর্ৎসনা করে বলেছিল যে, কোনও ভাবেই বল প্রয়োগ করে সাধারণ মানুষের আন্দোলন, প্রতিবাদ বন্ধ করা যাবে না। কিন্তু এরপরেও পূর্ব বর্ধমান, মেদিনীপুর থেকে অভিযোগ উঠেছে যে, পুলিশ একাধিক স্কুলকে মিছিল করার অনুমতি দিচ্ছে না। এই আন্দোলন ও বিক্ষোভের মাঝে বড় দাবি করে বসলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।

   

কুণাল ঘোষ এদিন নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘যাঁরা লক্ষ্মীর ভান্ডার এবং রাজ্য সরকারের অন্যান্য স্কিমগুলিতে থাকতে চান না, তাঁদের জন্য ফেরত দেওয়ার একটি ফর্ম দিক রাজ্য সরকার। দুয়ারে সরকার শিবিরে ফেরত কাউন্টার থাকুক। ফেসবুকে বিকৃত বিপ্লবী না সেজে, ফেরত ফর্ম ফিল আপ করুন। আমরাও RGKor দোষী/দের ফাঁসি চাই। কুরাজনীতি নয়।’

কুণাল ঘোষের এই বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে হচ্ছে। তাহলে তিনিও কী শেষে আরজি কর কাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকে দমানোর চেষ্টা করছেন?  উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সবথেকে জনপ্রিয় প্রকল্প হল এই লক্ষ্মীর ভান্ডার। রাজ্যের কয়েক লক্ষ মহিলা এই প্রকল্পের সুবিধা নেন। বলা ভালো, এই প্রকল্পের উপরেই ভর করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় ফিরেছেন। এখন দেখার বিষয় এটাই যে, রাজ্যের তরফ থেকে কুণাল ঘোষের দাবি মেনে এই প্রকল্প থেকে নাম তুলে নেওয়ার জন্য কোনও ফর্ম জারি হয় কি না।