ভুলে যান দিঘা, মন্দারমণি! কাছেই রয়েছে আরও সুন্দর সমুদ্র সৈকত, ১২০০ টাকায় সব কমপ্লিট

আপনি একটু দৈনন্দিন একঘেঁয়ে জীবন থেকে হাঁপিয়ে উঠেছেন? আপনিও কি একটু মুক্তির পথ খুঁজছেন? তাহলে আপনার জন্য রইল আজকের এই প্রতিবেদনটি। একটা সময় গিয়ে সকলেরই মনে হয় হাতে কয়েকটা দিন ছুটি থাকলে কোথা থেকে ঘুরে আসতে পারলে কিই না ভালো হতো। কিন্তু চাইলেই তো সব সময় আর সবকিছু পাওয়া যায় না।

তবে আর চিন্তা নেই, হাতে মাত্র কয়েকটি দিনের ছুটি নিয়ে আপনি কলকাতা (Kolkata) থেকে মাত্র কিছু ঘন্টা দূরে এক সুন্দর জায়গা থেকে ঘুরে আসতে পারেন। যেখানে গেলে আপনি দীঘা (Digha), পুরী (Puri), মন্দারমণি (Mandarmani) ভুলে যাবেন। শান্ত ও নিরিবিলি জায়গা যদি আপনিও পছন্দ করে থাকেন তাহলে আজ আপনাদের একটি দুর্দান্ত ডেস্টিনেশনের খোঁজ দেব যেখানে গেলে আপনি সারা সপ্তাহের ক্লান্তি ভুলে যাবেন। বিশেষ করে আপনিও যদি সমুদ্র ভালবাসেন তাহলে একদম সোনায় সোহাগা।

   

অনেকেই আছেন যারা সমুদ্র বলতে বোঝেন দীঘা নয়তো পুরি কিন্তু সারা বছর এই জায়গায় মানুষের ভিড় একপ্রকার থিক থিক করে। আপনিও যদি একটু অফবিট সি বিচের খোঁজ করে থাকেন তাহলে আপনিও এই উইকেন্ডে ঘুরে আসতে পারেন বাঁকিপুটে। এই বাঁকিপুট সমুদ্র সৈকতটি (Bankiput Sea Beach) অনেকটাই নির্জন এখানে গেলে আপনি সমুদ্রের আবার নতুন করে প্রেমে পড়ে যাবেন এই জায়গাটি পূর্ব মেদিনীপুরে অবস্থিত।

জায়গাটি এখনো অবধি জনপ্রিয়তা বেশি না পাওয়া মানুষের ভিড় এখানে বেশি থাকে না। এখানে আপনি নিজের সঙ্গে বা আয়নার প্রিয়জনের সঙ্গে অনেকটাই কোয়ালিটি সময় কাটাতে পারবেন বৈকি। এখানে আপনি সমুদ্রের খুব হালকা গর্জন শুনতে পারবেন। সেইসঙ্গে এখানকার স্নিগ্ধ পরিবেশ আপনাকে রীতিমতো পাগল করে দেবে। সারাদিনের ক্লান্তি এখানে এলে এক নিমিষে মিটে যাবে গ্যারেন্টি।

bankiput

এখানে কয়েক কিমি জুড়ে রয়েছে ঝাউবন। সেইসঙ্গে উপরি পাওনা সাগরতট জুড়ে দাপিয়ে বেড়ানো লাল কাঁকড়ার দেখা পাওয়া। এছাড়া এখানে দেখার মতো রয়েছে দরিয়াপুরের বাতিঘর থেকে শুরু করে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতি বিজড়িত কপালকুন্ডলার মন্দির। এখানে থাকার জন্য রয়েছে বেশ কিছু হোটেল, রিসোর্ট থেকে শুরু করে লজ। আপনি এখানে আরাম সে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে ঘরভাড়া পেয়ে যাবেন।

এখন আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন যে এই বাঁকিপুটে কিভাবে যাবেন? তাহলে আপনাদের জানিয়ে রাখি, আপনি যদি ট্রেনে যান তাহলে আপনাকে প্রথমে কাঁথি স্টেশনে নামতে হবে। এরপর সেখান থেকে টোটো বা ছোট গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে পৌঁছে যেতে পারেন বাঁকিপুটে। এর পাশাপাশি গাড়ি করে গেলে ৪ নং জাতীয় সড়ক ধরুন। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি পৌঁছে গেলে সেখান থেকে মেরেকেটে ১৪ কিলোমিটার পথ পেরোলেই পড়বে এই বাঁকিপুট

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর