সুন্দরবন (Sundarbans)…নামটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে মাতলা নদী, বাঘ, কুমির, সুবিস্তৃত ম্যানগ্রোভ অরণ্য প্রভৃতি। এই সুন্দরবন জায়গাটি দক্ষিণাংশে অসংখ্য নদী ও তার শাখা নদীর মধ্যবর্তী অংশে গড়ে উঠেছে এই ঘন সুন্দরবন। এই সুন্দরবনের একাংশ জোয়ারের সময়ে জলের তলায় চলে যায়।
রাজ্যের মানুষ থেকে শুরু করে দেশ বিদেশের বহু মানুষজন প্রত্যেক বছরই সুন্দরবনের সৌন্দর্য দেখতে চলে আসেন। মাতলা নদীর উপর দিয়ে বয়ে চলা স্টিমার, লঞ্চ দেখলেই যেন মনটা ভালো হয়ে যায়। বিশেষ করে গা ছমছম একটা অনুভূতি নিয়ে লঞ্চ যখন জলের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলে তখন একটা আলাদাই ভালোলাগা জন্মে যায় সকলের মধ্যে। আপনিও কি সাম্প্রতিক সময় সুন্দরবন যাওয়ার প্ল্যান করছেন? তাহলে আপনার জন্য রইল একটি জরুরী খবর।
সুন্দরবন যাওয়ার আগে আপনারও নতুন কিছু নিয়ম জেনে নেওয়া জরুরী, না হলে সেখানে গিয়ে প্রশাসনের কোপের মুখে পড়তে পারেন আপনিও। আসলে প্লাস্টিক যে পরিবেশের পক্ষে কতটা ক্ষতিকর সেটা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না এদিকে। এই প্লাস্টিকে দরুন সুন্দরবনের সৌন্দর্য বিগত কয়েক বছর ধরে ফিকে হয়েই যাচ্ছে। এবার সুন্দরবনে এই প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়েই বড়সড় সিদ্ধান্তের পথে হাঁটলো প্রশাসন।
বর্তমানে শীতের মরসুম চলছে। আর এই শীতের মরসুমে বাংলার বহু মানুষ সুন্দরবন এ ঘুরতে যান। কিন্তু প্রশাসনের নজরে বেশ কয়েকবার পড়ছে যে পর্যটকরা প্লাস্টিকের বোতল, প্লাস্টিকের ব্যাগ জলের মধ্যে ফেলছেন। আর এর জেরে পরিবেশে যথেষ্ট ক্ষতি হচ্ছে, সেই সঙ্গে সুন্দরবনের তো ক্ষতি হচ্ছেই।
আর এখানে পরিস্থিতিতেই এবার বড়সড় সিদ্ধান্তে পথে হাঁটলো সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প । জানা গিয়েছে, সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের তরফে জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে একটা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল যেটি সম্পর্কে হয়তো অধিকাংশ মানুষ জানেন না। এই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকায় প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ, বোতল, প্লেট, চামচ ব্যবহার করা যাবে না। সমস্ত লঞ্চ, ভুটভুটি, হোটেল , লজ মালিকদেরও এনিয়ে নির্দেশিকা পাঠানো হচ্ছে।