দিঘা ফেল! হাওড়া থেকে লোকাল ট্রেনে করে চলে যান কাছের ‘মিনি নায়গ্রা’, ১২০০ টাকায় সব কমপ্লিট

ঘুরতে (Travel) যেতে ইচ্ছা কার না থাকে। আর এখন শীতকাল (Winter), এই সময়ে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার জন্য একদম আদর্শ সময় ধরা হয়। তবে ইচ্ছা থাকলেই তো আর হয় না, মাথায় অফিসের কাজের চিন্তা অনেকেরই ঘুরতে থাকে। এদিকে ছুটি কম, কীভাবে অল্প সময়ের মধ্যে কোথাও যাওয়া যায় আবার কম টাকার মধ্যে সেটা প্ল্যান করতে করতেই দিনগুলো যেন বয়ে যায়।

আপনার হাতেও কি সময় কম? কলকাতার (Kolkata) আশেপাশেই কোথাও ঘুরতে যেতে চাইছেন? কিন্তু কোথায় যাবেন বুঝতে পারছেন না? তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য। এই শীতে অনেকেই আছেন যারা ঝাড়গ্রাম (Jhargram) যাচ্ছেন, এখানকার সুবিস্তৃত জঙ্গল, ঝর্না, বন্যপ্রাণী সারাবছরই পর্যটকদের আকর্ষণ করে। ঝাড়গ্রাম মানেই হল বেলপাহাড়ি (Belpahari)। কিন্তু এই ঝাড়গ্রামের বুকেই লুকিয়ে রয়েছে এক দুর্দান্ত জায়গা, যেখানে গেলে আপনি আর ফিরে আসতে চাইবেন না।

   

এই শীতে আপনিও  ঢাঙিকুসুম (Dhangikusum) যাওয়ার প্ল্যান করে ফেলতে পারেন। বন্ধুবান্ধব হোক বা একাই ঘুরে আসতে পারেন এই জায়গা থেকে। বিশেষ করে আপনিও যদি একটু অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী হয়ে থাকেন তাহলে এই জায়গাটি আপনার জন্য একদম হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো জায়গা।  ঝাড়গ্রাম শহর থেকে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার দূরে ঝাড়খণ্ড সীমান্ত থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে অবস্থিত ঢাঙ্গিকুসুম। বুড়িসোল বনের মধ্য দিয়ে যাওয়া মসৃণ এবং সু-রক্ষণাবেক্ষণ করা রাস্তাটি আরেকটি আকর্ষণ যা পর্যটকদের ঝাড়গ্রাম ঘুরে দেখতে শক্তি জোগায়।

রাস্তাটি শিলদা ও বেলপাহাড়ির মধ্য দিয়ে  ঢাঙিকুসুমকে সংযুক্ত করে যতক্ষণ না রাস্তাটি একটি পাহাড়ের চূড়ায় নিয়ে যায়। এখানে একটি দারুণ জলপ্রপাত রয়েছে। এটিকে অনেকেই আবার মিনি নায়াগ্রা জলপ্রপাত বলে থাকেন। এই জলপ্রপাতটিতে পৌঁছাতে প্রায় পাঁচ মিনিটের জন্য ট্রেক করতে হবে।

dhangikusum

চিড়াকুটি মোড় থেকে ঢাঙিকুসুম পর্যন্ত পাহাড় কেটে পিচ রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। পাহাড়ের কোলে প্রকৃতির যেন এক অপরূপ সৌন্দর্যের ডালি সাজিয়ে বসে রয়েছে ঢাঙিকুসুম। এই ঢাঙিকুসুমে হাতেগোনা কিছু আদিবাসী মানুষরা থাকেন। নিস্তব্ধ জঙ্গলের পথ ধরে হেঁটে গেলে কানে আসবে জলপ্রপাতের শব্দ। এই জলপ্রপাতের কাছে গেলে আপনি একপ্রকার প্রেমে পড়ে যাবেন। এখানে থাকার জন্য বেশকিছু গেস্ট হাউস, কটেজ রয়েছে। এছাড়া রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন বিভাগের আবাস। এখানে মাত্র ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যেই আপনার থাকা, খাওয়া হয়ে যাবে। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন যে এখানে ঢাঙিকুসুমে পৌঁছাবেন কীভাবে?

তাহলে এর জন্য আপনাকে প্রথমে হাওড়া থেকে ট্রেনে ঝাড়গ্রাম পৌঁছাতে হবে। এরপর সেখান থেকে  আপনাকে যেতে হবে বেলপাহাড়ি হয়ে ঢাঙিকুসুম। আপনার যদি বাজেট বেশি হয় তাহলে চাইলে ঝাড়গ্রাম থেকে গাড়ি ভাড়া করে নিতে পারেন। কিংবা ঝাড়গ্রাম থেকে বাসে করে চলে আসুন ৩৭ কিলোমিটার দূরের বেলপাহাড়ি থেকে। এখান থেকেও গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে পৌঁছে যেতে পারেন ঢাঙিকুসুম।

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর