বিশ্বকে রক্ষা করবে ভারত! বিভিন্ন দেশে কিনবে BrahMos মিসাইল, তালিকায় বড়বড় নাম

নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র মুকুটে আরও এক নয়া পালক জুড়ল। ভারতের (India) প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে জোরদার করতে বিগত কয়েক বছর ধরে কাজ করেই চলেছে। তারই অন্যতম বড় ফলশ্রুতি জল ব্রহ্মসের (BrahMos) মতো মিসাইল। ভারতের দিকে এবার চোখ তুলে তাকাতে সাহস পাবে না কোনও শ্ত্রু দেশ, কারণ ভারত এমনই এক কাজ করতে চলেছে। শুধু তাই নয়, ভারতের দৌলতে এমন বহু দেশ এমন রয়েছে যাদের ওপর শত্রুরা চোখ তুলে তাকাবে না।

জানা গিয়েছে, ভারত এখন ব্রহ্মসের মতো সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র রফতানির প্রস্তুতি নিচ্ছে। ডিআরডিও-র (Defence Research and Development Organisation) চেয়ারম্যান ডঃ সামিভ ভি কামাথ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আগামী ১০ দিনের মধ্যে ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের গ্রাউন্ড সিস্টেম রফতানি শুরু করবে ভারত। এরপর চলতি বছরের মার্চ থেকে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র রফতানিও শুরু হবে। ড. কামাথ বলেন, অনেক অস্ত্র ফিলিপাইনে রফতানি করা হয়েছে। এখন অন্যান্য দেশ থেকেও একই ধরনের চাহিদা দেখা দিয়েছে।

   

DRDO-র তৈরি এবং ভারত ফোর্জ, টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস সহ বেসরকারি সংস্থায় উৎপাদিত ৩০৭টি এটিএজিএস বন্দুকের অর্ডার চলতি আর্থিক বছরের মধ্যেই দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আপনাদের জানিয়ে রাখি, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ভারত ও ফিলিপিন্সের মধ্যে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি হয়েছিল, যার অধীনে ফিলিপিন্সে ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করা হবে। ২৯০ কিলোমিটার পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র রফতানির জন্য এটি প্রথম চুক্তি ছিল। এই চুক্তির আওতায় ২ বছরে জাহাজ বিধ্বংসী সংস্করণের ৩টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যাটারিও রপ্তানি করার কথা ছিল।

brahmos missile

ড. সামির কামাত বলেন, ‘আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আমাদের সব অস্ত্রশস্ত্র থাকবে বিদেশি সেনাবাহিনীতে। এ ছাড়া আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র, অর্জুন ট্যাংক, হালকা বিমানের মতো প্রতিরক্ষা সব সরঞ্জামও রপ্তানি করা হবে। অনেক দেশও এগুলোতে আগ্রহ দেখিয়েছে। প্রসঙ্গত, ভারত ইতিমধ্যেই আর্মেনিয়ার মতো দেশে অস্ত্র রফতানি করছে। এটি ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের জন্য একটি বড় লাফ, যা এতদিন পর্যন্ত নিজের প্রয়োজনের জন্যও আমদানি করত। এখন, এর বিপরীতে, বড় আকারের রফতানি একটি সাফল্য।‘

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর