সিম কার্ড অতীত! এবার ইন্টারনেট ছাড়াই মোবাইলে চলবে ভিডিও, ব্যাপক পরিকল্পনা কেন্দ্রের

বর্তমান সময় এমন কোনও মানুষ হয়তো বাকি নেই যার কাছে স্মার্টফোন (Smartphone) নেই। এখন সকলেই কম বেশি স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন। আর এই স্মার্টফোনের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই বাড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) দাপট। তবে মোবাইলে (Mobile Phone) এখন কিছু দেখতে গেলে সে ভিডিও হোক বা ছবি, সিম ইন্টারনেট (Internet Access) জরুরী হয়। তবে এবার আপনাকে যদি বলি যে ফোনে সিম ও ইন্টারনেট ছাড়াই আপনি ভিডিও দেখতে সক্ষম হবেন, তাহলে কেমন হয়? শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু এটাই বাস্তব আসলে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government) একটি বড় সিদ্ধান্তের পথে হাঁটতে চলেছে যা শুনলে আপনিও চমকে যেতে পারেন।

মোবাইল ব্যবহারকারীরা শীঘ্রই সিম কার্ড (Sim Card) বা ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই ভিডিও দেখতে সক্ষম হবেন। কারণ অদূর ভবিষ্যতে ডাইরেক্ট-টু-মোবাইল সম্প্রচার বাস্তবে পরিণত হতে পারে। এক ব্রডকাস্টিং সামিটে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার সচিব অপূর্ব চন্দ্র বলেন, খুব শীঘ্রই ১৯টি শহরে ডাইরেক্ট-টু-মোবাইল (ডিটুএম) প্রযুক্তির পরীক্ষা চালানো হবে এবং এই উদীয়মান প্রযুক্তির জন্য ৪৭০-৫৮২ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম সংরক্ষণের জোরালো দাবি জানান তিনি।

   

তিনি বলেন, ভিডিও ট্র্যাফিকের ২৫-৩০ শতাংশ ডিটুএম-এ স্থানান্তরিত হলে 5G নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে যাবে, দেশের ডিজিটাল বিবর্তন ত্বরান্বিত হবে এবং কনটেন্ট ডেলিভারির মাত্রা আরো বাড়বে। গত বছর বেঙ্গালুরু, কর্তব্য পথ এবং নয়ডায় ডি২এম প্রযুক্তি পরীক্ষা করার জন্য পাইলট প্রকল্প গুলি চালানো হয়েছিল। এই বিষয়ে অপূর্ব চন্দ্র বলেন, ডিটুএম প্রযুক্তি সারা দেশে প্রায় ৮-৯ কোটি ‘টিভি ডার্ক’ বাড়িতে পৌঁছাতে সহায়তা করবে। দেশে১৯০ মিলিয়ন পরিবারের টেলিভিশন সেট রয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে ৮০ কোটি স্মার্টফোন রয়েছে এবং ব্যবহারকারীদের অ্যাক্সেস করা সামগ্রীর ৬৯ শতাংশ ভিডিও ফর্ম্যাটে রয়েছে। ভিডিওর অত্যধিক ব্যবহারের ফলে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে কনটেন্ট বাফারিং হয়। সাঙ্কা ল্যাবস এবং আইআইটি কানপুর দ্বারা নির্মিত, ডি ২ এম সম্প্রচার প্রযুক্তি স্থলীয় টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো এবং পাবলিক ব্রডকাস্টার-নির্ধারিত স্পেকট্রামকে সরাসরি সামঞ্জস্যপূর্ণ মোবাইল এবং স্মার্ট ডিভাইসে ভিডিও, অডিও এবং ডেটা সংকেত প্রেরণের জন্য ব্যবহার করে।

mobile

এক বিলিয়নেরও বেশি মোবাইল ডিভাইসে পৌঁছানোর সম্ভাবনার সাথে, ডি টু এম প্রযুক্তি গ্রহণ ডেটা ট্রান্সমিশন এবং অ্যাক্সেসের ব্যয় হ্রাস, নেটওয়ার্ক দক্ষতা এবং স্থিতিস্থাপকতার উন্নতি এবং সম্ভাব্যভাবে দেশব্যাপী জরুরি সতর্কতা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দিকে পরিচালিত সহ রূপান্তরমূলক সুবিধার প্রতিশ্রুতি দেয়।

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর