কলকাতাঃ আরজি কর কাণ্ডে বারবার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সাধারণ মানুষ থেকে রাজ্যের বিরোধী দলগুলোর দাবি আরজি কর কাণ্ডে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চালিয়েছেন গুণধর অধ্যক্ষ। এবার সেই নিয়ে এক ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি।
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে মেডিক্যাল পড়ুয়ার মৃত্যুর পর সেমিনার হলে লোকে লোকারণ্য হয়ে গিয়েছিল। আর সেই মানুষের ভিড়ে ছিলেন সন্দীপ ঘনিষ্ঠ অনেকেই। এখন প্রশ্ন উঠছে যে, ক্রাইম সিনে এত মানুষ নিয়ে সন্দীপ ঘোষ কী করতে গিয়েছিলেন? পুলিশই বা সেখানে মানুষের প্রবেশ আটকাল না কেন? ইচ্ছে করেই কী ভিড় বাড়িয়ে প্রমাণ নষ্টের ফন্দি পাতা হয়েছিল?
এই ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি ট্যুইটারে একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘দেবাশীষ সোম – ফরেনসিক মেডিসিনের অধ্যাপক, প্রসূন চট্টোপাধ্যায়, সান্তনু দে সহ একাধিক লোকজন সেমিনার রুমে কি করছিল? ফরেনসিক তথ্য লোপাটের চেষ্টা? ঘটনাস্থলে অর্থাৎ ক্রাইম সিনে কারো যাওয়ার কথা নয় কিন্তু এরা গেল কি করে? পুলিশ আটকালো না কেন?’
দেবাশীষ সোম – ফরেনসিক মেডিসিনের অধ্যাপক, প্রসূন চট্টোপাধ্যায়, সান্তনু দে সহ একাধিক লোকজন সেমিনার রুমে কি করছিল?
ফরেনসিক তথ্য লোপাটের চেষ্টা?
ঘটনাস্থলে অর্থাৎ ক্রাইম সিনে কারো যাওয়ার কথা নয় কিন্তু এরা গেল কি করে? পুলিশ আটকালো না কেন? pic.twitter.com/kLciTl8w0b
— Tarunjyoti Tewari (@tjt4002) August 26, 2024
শুধু তরুণজ্যোতিই নন, এখন এই প্রশ্ন সবার। তাহলে কী দোষীদের আড়াল করতে চেয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ? উনি সবটা জানেন বলেই কী ইস্তফা দেওয়ার পর অন্য মেডিক্যাল কলেজে অধ্যক্ষ পদ পেয়ে যান? উল্লেখ্য, আরজি করে হামলা ও ভাঙচুরের পর অনেকেই রাজ্য সরকার ও পুলিশের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ এনেছিলেন। এবার সেই অভিযোগের আগুনে আরও যেন ঘি ঢালল এই ভিডিও।