তেল না থাকলে, আজই ভরে নিন গাড়িতে! বাংলায় বন্ধ থাকবে ‘পেট্রোল পাম্প’! চলবে ধর্মঘট

আপনারও কি দু’চাকা বা চার চাকা গাড়ি আছে? আপনার কি গাড়িতে (Car) পেট্রোল (Petrol) বা ডিজেল (Diesel Fuel) ভাড়া বাকি আছে? তাহলে আপনার জন্য রইল একটি ধাক্কাদায় খবর, যা শুনলে আপনিও চমকে উঠতে পারেন। এবার ধর্মঘটে সামিল হতে চলেছেন পেট্রোল পাম্পের (Filling station) মালিকরা। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। আগামী ১৫ই ফেব্রুয়ারি ব্যাপক ধর্মঘটের সাক্ষী থাকতে চলেছে গোটা বাংলা (West Bengal)। কারণ সেদিন বন্ধ থাকবে একের পর এক পেট্রোল পাম্প। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন যে কেন এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? তাহলে বিস্তারিত জানতে ঝটপট করে ফেলুন আজকের এই প্রতিবেদনটি।

তাই বিস্তারিত জানতে সকলকে ফিরে যেতে হবে কিছু সময় আগে যখন পঞ্চায়েত ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেইসময় পেট্রোল পাম্পে ঢুকেছিল একের পর এক কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি। হু হু করে গাড়িতে দেওয়া হয়েছিল পেট্রোল নয়তো ডিজেল। অবাধ শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানানো হয়েছিল। সেই মতো রাজ্যে পা রেখেছিলেন কয়েক হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী। এরপর ভোট শেষে কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গিয়েছিল।

   

এদিকে পঞ্চায়েত ভোট শেষ হয়েছে তার ছয় মাস কেটে গিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহৃত গাড়িতে জ্বালানির টাকা এখনো পাননি পেট্রোল পাম্প অ্যাসোসিয়েশনের মালিকরা। নর্থ বেঙ্গল পেট্রোল অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ির জন্য উত্তরবঙ্গের (North bengal) বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পের তরফে তেল দেওয়া হয়। তবে সেই তেলের টাকা এখন অবধি মেলেনি বলে জানানো হয়েছে।

কোটি কোটি টাকা বকেয়া সহ প্রশাসনের কাছে একাধিক দাবি রয়েছে উত্তরবঙ্গ পেট্রোল পাম্প অ্যাসোসিয়েশনের। আপনি জানলে অবাক হবেন উত্তরবঙ্গের আর জেলায় তেলের দাম বাবদ ১৯ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। পাম্প কর্তৃপক্ষের আরো অভিযোগ, ১০১৭ সালের পর কেন্দ্রকে বারবার বলা সত্ত্বেও তাদের কমিশন বাড়েনি। অথচ পেট্রোল পাম্পের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় লাভের অংশটাও কমে গেছে। তাই ডিলার্স কমিশন বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবি তুলে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।

petrol pump

জানা গিয়েছে, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি টানা ২৪ ঘণ্টা পেট্রোল পাম্প ধর্মঘট। সকাল ৬টা থেকে পর দিন সকাল ৬টা পর্যন্ত উত্তরের ৮ জেলায় বন্ধ থাকবে সমস্ত পেট্রল পাম্প। এর জেরে সাধারণ মানুষের যে চরম ভোগান্তি হবে সেটা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর