মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে হুলস্থূল কান্ড! পর্ষদের নয়া নির্দেশে ঘুম উড়ল পড়ুয়াদের, চারিদিকে আতঙ্ক

হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন তারপরেই শুরু হয়ে যাবে মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Pariksha)।  জীবনে বড় পরীক্ষাকে ঘিরে সকল পড়ুয়ার মধ্যে একটি আলাদাই উত্তেজনাময় পরিস্থিতি তৈরি হয়ে রয়েছে। সকলেই কম বেশি নার্ভাস হয়েছে এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। পড়ুয়াদের পাশাপাশি তাদের অভিভাবকরাও একপ্রকার টেনশনে ভুগছেন । তবে এরই মাঝে মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে প্রকাশ্যে এল বড় খবর যা শুনে চমে গিয়েছে সকলে।

বিশেষ করে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কয়েকটা দিন বাকি থাকতেই এডমিট কার্ড (Admit Card) নিয়ে প্রবল জটিলতা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে পড়ুয়ারা এই অ্যাডমিট কার্ডকে ঘিরে প্রবল আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছেন। আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে কি হয়েছে তাহলে বিস্তারিত জানতে ঝটপট করে ফেলুন এই প্রতিবেদনটি। বিশেষ করে আপনার সন্তানে যদি চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে তাহলে আপনার জন্য রইল জরুরি খবর।

   

ইতিমধ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (West Bengal Board of Secondary Education) যা সকলকে মেনে চলার নির্দেশ অবধি দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ আলের শেষের দিকেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে সাফ জানানো হয়েছিল যে, মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে প্রধান শিক্ষক, শিক্ষিকা বা টিচার ইনচার্জদের একটি মুচলেকা দিতে হবে। এই মুচলেকা বাধ্যতামূলক। যদিও এই মুচলেকা বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি সিংহভাগ শিক্ষক শিক্ষিকারা। তাঁদের সাফ কথা, এরকম কোনও মুচলেকা তাঁরা দেবেন না। ফলে মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে স্কুল ও বোর্ডের এহেন দড়ি টানাটানির মাঝে পড়ে পড়ুয়াদের মাথায় বাজ ভেঙে পড়তে পারে সেটা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা পর্ষদের ক্যাম্প অফিস থেকে অ্যাডমিট নিতে গিয়ে তারা সাফ জানিয়েছেন যে, কোনও মুচলেকা তারা দিতে পারবেন না। এই প্রসঙ্গে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বড় কথা বলেছেন প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি। তিনি জানিয়েছেন, ‘‌কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় সবাই একমত হয়েছেন যে, অ্যাডমিট নেওয়ার সময় কোনও স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকা ওই মুচলেকা দেবেন না। এই নির্দেশিকা অত্যন্ত অপমানজনক। এবং বাংলার ইতিহাসে এমন অপমানজনক ঘটনা নাকি কখনও হয়নি।‘ কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, এই মর্মে সংগঠন মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর দফতরে চিঠি অবধি পাঠাতে পারেন।

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর