শিয়ালদা লাইনে নিত্যযাত্রীদের জন্য সুখবর! বড় সিদ্ধান্ত নিল রেল, শুনে লাফাবেন

রেল (Indian Railways) যাত্রীদের জন্য দারুণ সুখবর। বিশেষ করে নিত্য রেলযাত্রীদের কথা মাথায় রেখে বড় সিদ্ধান্তের পথে হাঁটল পূর্ব রেল (Easter railway zone)। এদিকে পূর্ব রেলের এক সিদ্ধান্তের কারণে বেজায় খুশি নিত্য অফিস যাত্রী থেকে শুরু করে বহু মানুষ। বিশেষ করে আপনিও যদি শিয়ালদা ডিভিশনের (Sealdah) যাত্রী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য রইল দুর্দান্ত সুখবর।

এবার শিয়ালদা ডিভিশনের একটি ট্রেনে অতিরিক্ত স্টপে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল। আপনিও কি জানতে চান যে পূর্ব রেল কোন ট্রেনের অতিরিক্ত স্টপেজ দিয়েছে? কোন কোন স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াবে? তাহলে বিস্তারিত জানতে ঝটপট পড়ে ফেলুন আজকের এই প্রতিবেদনটি।

   

আসলে সন্ধ্যের দিকে অফিস ফিরতি যাত্রীদের সংখ্যা মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গিয়েছে। এদিকে ট্রেন কম থাকায় কিংবা ট্রেনের স্টপেজ না দেওয়ায় প্রত্যেকদিনই চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছিল সকলকে। আর এই যাত্রীদের অসুবিধার কথা ভাবনা চিন্তা করে এবার শিয়ালদা কল্যাণী সীমান্ত লোকালে (Sealdah – Kalyani Simanta Local) অতিরিক্ত স্টপেজ দেওয়ার ঘোষণা করেছে পূর্ব রেল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী সোমবার থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানা গিয়েছে।

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে কোন স্টেশনে দাঁড়াবে শিয়ালদা কল্যাণী সীমান্ত লোকাল? এই প্রসঙ্গে পূর্ব রেল জানিয়েছে, ট্রেন নম্বর ৩১৩৩৭ শিয়ালদা-কল্যাণী সীমান্ত সুপার লোকালে সেই বাড়তি স্টপেজ দেওয়া হবে। ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে দাঁড়াবে বিধাননগর রোড স্টেশনে। যে ট্রেন সন্ধ্যা ৭ টা ১০ মিনিটে শিয়ালদা থেকে ছাড়ে। তারপর বিধাননগর রোড স্টেশনে দাঁড়াবে। এর আগে এই ট্রেন সোজা দমদম জংশনে দাঁড়াতো। যদিও এবার আগামী সোমবার বিধাননগরে প্রথম থামবে, তারপর লোকাল ট্রেনটি দাঁড়াবে দমদম স্টেশনে।

sealdah kalyani simanta

এই বিষয়ে পূর্ব রেলের তরফে আরও বলা হয়েছে, ‘বিধাননগর স্টেশনে দেখা যায় যে বাড়ি ফেরার জন্য প্রচুর নিত্যযাত্রীরা অপেক্ষা করছেন। সেই কথা মাথায় রেখে পূর্ব রেলওয়ে শিয়ালদা-কল্যাণী সীমান্ত লোকালের (যেটি শিয়ালদা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা ১০ মিনিট ছাড়ে), সেই ট্রেনটির স্টপেজ বিধাননগর স্টেশনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে সেই স্টপেজ দেওয়া হবে। ট্রেনটি বিধাননগর স্টেশনে এসে পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৭ টা ১৭ মিনিটে। এতদিন এই ট্রেনটির বিধাননগরে কোনও স্টপেজ ছিল না।

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর