ভিখারি পাকিস্তানে কমল দুর্নীতি, ঝটকা ভারতে! জানুন কেলেঙ্কারিতে কত নম্বরে আমাদের দেশ

তীব্র মুদ্রাস্ফীতি থেকে শুরু করে রাজনৈতিক সঙ্কট, এছাড়াও আরও অনেক ইস্যুকে ঘিরে বারবার শিরোনামে থাকে পাকিস্তান (Pakistan)। এবারও কিন্তু তার ব্যতিক্রম হল না। কিন্তু এবারের ব্যাপারটা একটু অন্য রকম। কাঙাল হওয়া পাকিস্তানকে নিয়ে প্রকাশ্যে এমন এক তথ্য উঠে এসেছে যেটি সম্পর্কে শুনে সকলেই একপ্রকার থ হয়ে গিয়েছেন।

সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। আর সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, শাহবাজ শরিফ ও আসিম মুনিরের শাসনকালে নাকি পাকিস্তানে দুর্নীতির ঘটনা কমেছে। দুর্নীতির ধারণা সূচকে পাকিস্তানের অবস্থান ৭ ধাপ এগিয়েছে। ২০২৩ সালে পাকিস্তানের র‍্যাঙ্কিঙ্ক ছিল ১৩৩, যা ২০২২ সালে ছিল ১৪০। পাকিস্তানের সিপিআই ১০০ এর মধ্যে ২৯তম অবস্থানে পৌঁছেছে, যা আগে ছিল ২৭তম। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল তাদের সর্বশেষ রিপোর্টে এ তথ্য জানিয়েছে।

   

এদিকে  ভারতের কথা বলতে গেলে, ভারত কিছুটা হলেও ঝটকা খেয়েছে। ২০২২ সালে ভারতের সিপিআই ছিল ৪০, যা এখন ২০২৩ সালে ৩৯-এ নেমে এসেছে। বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে ৯০ পয়েন্ট নিয়ে সবচেয়ে কম দুর্নীতির হার ডেনমার্কে। ডেনমার্কের পাশাপাশি ফিনল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডেও পেয়েছে ৯০ সিপিআই। আইনের শাসনের সূচকেও শীর্ষে রয়েছে এসব দেশ। সোমালিয়ায় ১১টি, ভেনেজুয়েলায় ১৩টি, সিরিয়ায় ১৩টি, দক্ষিণ সুদানে ১৩টি এবং হুথি দেশ ইয়েমেনে ১৬টি দেশ রয়েছে। এসব দেশে দুর্নীতি প্রকট আকার ধারণ করেছে। এ ছাড়া এসব দেশে চলছে সশস্ত্র সংঘাত।

pakistan corruption

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল পাকিস্তানের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জিয়া পারভেজ স্বীকার করেছেন যে পাকিস্তানের স্কোর ধীরে ধীরে উন্নতি হয়েছে। জিয়া বলেন, পাকিস্তান অনেক পরামর্শ বাস্তবায়ন করেছে যা তাদের উপকারে এসেছে। রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়েছে যে বেশিরভাগ দেশ সরকারী খাতের দুর্নীতি মোকাবেলায় খুব কম অগ্রগতি করেছে। বৈশ্বিক সিপিআই গড় টানা ১২তম বছরের জন্য ৪৩। দুই-তৃতীয়াংশ দেশ ৫০-এর কম স্কোর পেয়েছে। এ ছাড়া বিশ্বব্যাপী বিচার ব্যবস্থার কার্যকারিতা হ্রাস পেয়েছে।

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর