সোনায় মুড়ছে কালীঘাট মন্দিরের চূড়া, খরচ কত কোটি? জানালেন মমতা! শুনে চোখ কপালে উঠবে

কালীঘাট মন্দির (Kalighat Kali Temple )…বছরের পর বছর ধরে মাথা উঁচু করে কলকাতা (Kolkata) শহরের প্রাণকেন্দ্রে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। যদিও এবার এই কালীঘাট মন্দিরকে নিয়ে প্রকাশ্যে এল বড় খবর, যা শুনে চমকে যেতে পারেন আপনিও। জানা গিয়েছে, কালীঘাট মন্দির আগামী কিছু সময়ের মধ্যে একদম বদলে যেতে চলেছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়েছেন, কালীঘাট মন্দির এবং সমস্ত সতীপীঠ সহ বাংলার তীর্থস্থানগুলির পুনর্নবীকরণের জন্য রাজ্য সরকার ৭০০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে।

kalighat temple

কত কোটি খরচ কালীঘাট মন্দিরে?

   

তিনি উল্লেখ করেন যে কালীঘাট মন্দিরের সংস্কারে রাজ্য ১৬৫ কোটি টাকা এবং রিলায়েন্স গ্রুপ মন্দিরের সোনার চূড়ার জন্য ৩৫ কোটি টাকা ব্যয় করছে। কালীঘাট পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে মন্দিরের গর্ভগৃহের সংস্কার এবং ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা সহ প্রাসাদের একটি বড় রূপ।

দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে কত খরচ?

শুধু তাই নয়, দিঘায় (Digha) যে জগন্নাথ মন্দির তৈরি হচ্ছে, তাতে ২০৫ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা। বাংলার মন্দির পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দিঘার কাছে হিডকো দ্বারা নির্মিত জগন্নাথ ধাম প্রায় শেষের দিকে রয়েছে এবং রাজ্য একটি নতুন মন্দিরের জন্য ইসকনকে ৭০০ একর জমি দিয়েছে।

এছাড়া তারাপীঠ, নলহাটি, তারকেশ্বর, মহেশ, কচুয়া, ওঙ্কারনাথ, জলপেশ, মদন মোহন ও ফুলহারার মন্দির কমপ্লেক্স ও আশেপাশের এলাকা সংস্কার করা হচ্ছে। বারাণসীতেও রাজ্যের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি মন্দির সংস্কার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

গঙ্গাসাগর প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘‘গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে আমি আজ আবার চিঠি দিচ্ছি। ২৫০ কোটি টাকা এবার খরচ করেছি। আমার ধারণা ১ কোটির উপর লোক ছড়িয়ে যাবে গঙ্গাসাগর মেলা। বাংলার এই মেলা কেন জাতীয় স্বীকৃতি পাবে না? তাই আমি আজ আবার চিঠি দিলাম।’’

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর