কাজ প্রায় শেষ। এবার দিন গোনার পালা। খুব তাড়াতাড়ি হয়তো ছুটবে হাওড়া ময়দান (Howrah Maidan) থেকে ধর্মতলা (Dharmatala) পর্যন্ত মেট্রো রেল (Metro Rail)। গঙ্গার নীচ দিয়ে ছুটবে মেট্রো। তার আগে বারবার সবকিছু খুঁটিয়ে দেখে নিলেন চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি জনককুমার গর্গ। পরীক্ষা করার সময় মেট্রো রেলের গতি উঠেছিল ৯১ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা।
ভারতে এই প্রথম কোনো মেট্রো রেল ছুটতে চলেছে নদীর তলা দিয়ে। এর আগে দেশের আর কোনো প্রান্তেই নদীর নীচ দিয়ে মেট্রো পরিষেবা শুরু করা হয়নি। এ ব্যাপারে হাওড়া ও কলকাতা পথ প্রদর্শক। মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ ও এই কর্মযজ্ঞের সঙ্গে যুক্ত সকল কর্মীর কাছে এটা একটা চ্যালেঞ্জ।
কাজে কোনো ভুল চাইছে না কর্তৃপক্ষ। তাই একবার নয়, সব কিছু একাধিকবার পর্যবেক্ষণ করলেন চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি জনককুমার গর্গ। হাওড়া ময়দান, হাওড়া, মহাকরণ এবং এসপ্ল্যানেড স্টেশনের সব ব্যবস্থাপনা খুঁটিয়ে দেখেছেন জনককুমার। সোমবারের পর মঙ্গলবার সকালেও উপস্থিত ছিলেন তিনি।
ঢোকার ও বেরনোর রাস্তা, পাঞ্চ করার গেট, টিকেটিং সিস্টেম, কিউআর কোড টিকিট সিস্টেম, স্টেশন কন্ট্রোল রুম, এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম, ট্র্যাকশন সাব-সিস্টেম, ব্যাক-অ্যাপ কন্ট্রোল সিস্টেম, এসক্যালেটর, লিফট, সাইনেজ বোর্ড, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, এমার্জেন্সি টকব্যাক সিস্টেম, ব্লু লাইট সিস্টেম ইত্যাদি সমস্ত ব্যবস্থা চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি নিজে দেখে নিয়েছেন।
নতুন লাইন দিয়ে যাওয়ার সময় যাতে কোনো সংঘর্ষ না হয় সে জন্য পরখ করে নেওয়া হয়েছে অ্যান্টি-কলিশন ব্যবস্থা। পরীক্ষার সময় মেট্রো রেলের গতি উঠেছিল প্রায় ৯১ কিলোমিটার। পরিষেবা শুরু হওয়ার পর হাওড়া স্টেশন থেকে যাত্রীদের চাপ বেশি থাকতে পারে। সে জন্য ‘ইন্টারচেঞ্জিং পয়েন্ট’ পরিদর্শন করেন চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি।