মেট্রো নয়, বাংলার বুকে তৈরি হচ্ছে ভারতের প্রথম আন্ডারগ্রাউন্ড রেল স্টেশন! জুড়ে যাবে দুই রাজ্য

আপনি কি জানেন যে বাংলার (West Bengal) বুকে ভারতীয় রেল (Indian railways) তৈরি করছে দেশের (India) প্রথম আন্ডারগ্রাউন্ড রেল স্টেশন (Train station)? কী শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু চমক তো আরও কনক বাকি আছে। সবে তো চমক দিতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে শুরু করে ভারতীয় রেল (Indian Railways)।

ভারতীয় রেলওয়ে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) তিস্তা বাজারে (Tista Bazar) দেশের প্রথম ভূগর্ভস্থ রেলওয়ে স্টেশন নির্মাণ করছে। এই রেল স্টেশন তৈরির উদ্দেশ্য হল পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের (Sikkim) মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা বাড়ানো। এই উদ্যোগ নিয়েই সিকিমে রেলের যাত্রা শুরু হতে চলেছে। প্রকল্পটি ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রকল্প পরিচালক মহিন্দর সিং বলেন, রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য হবে ৬২০ মিটার এবং টানেলের দৈর্ঘ্য হবে ৬৫০ মিটার। এখানে আরামে ট্রেন পার্ক করা যাবে।

   

এই স্বপ্নের রেল প্রোজেক্ট সম্পর্কে তিনি আরও জানান, ব্রডগেজ নেটওয়ার্কের দিক থেকে এই রেলওয়ে স্টেশনটি হবে দেশের প্রথম ভূগর্ভস্থ রেলওয়ে স্টেশন। এটি তৈরি হলে তিস্তা বাজার থেকে দার্জিলিং ও সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক যেতে মানুষের আর কোনো সমস্যা হবে না। এখান থেকে মাত্র দু’ঘণ্টায় দার্জিলিং (Darjeeling) পৌঁছে যাবেন পর্যটকরা।

এই রেলপথে ১৪টি টানেল ও ২২টি সেতু থাকবে। ট্র্যাকটির হ্যান্ডলিং ক্ষমতা ২৫ টন হবে এবং ট্রেনগুলি প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১১০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম হবে। এই মুহূর্তে গাড়িতে যে দূরত্ব অতিক্রম করা হয়েছে তা অতিক্রম করতে সময় লাগে ৩ ঘণ্টা। এই রেল লাইন নির্মাণের পর মাত্র ১ ঘণ্টায় যাত্রা শেষ হবে। এটি নির্মাণ করছে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন (ইরকন) ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। এটি একটি পাবলিক সেক্টর কোম্পানি। এই প্রকল্পের ডিরেক্টর ইরকন অফিসার মহিন্দর সিং সম্প্রতি বলেছিলেন যে এই লাইনের নির্মাণ কাজ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে।

rail link

সম্প্রতি দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা জানান যে, সিকিম ও বাংলার উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে চারটি দেশের সীমান্ত রয়েছে। চীন, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান, এই এলাকার কিছু অংশকে চিকেন নেক (কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ) বলা হয়। এটি খুবই স্পর্শকাতর এলাকা। তিনি বলেন, “এটি (রেল লাইন) কেবল পর্যটনের জন্য বিখ্যাত এই অঞ্চলে যোগাযোগ বাড়িয়ে তুলবে না, তবে সেনাদের চলাচল সহজ হওয়ার সাথে সাথে সুরক্ষার দিক থেকেও প্রয়োজনীয় সহায়তাও সরবরাহ করবে।

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর