কোটি টাকা দিলেও পাবেন না এক ইঞ্চিও জমি! ভারতের এই ৫ রাজ্যে রয়েছে কড়া নিয়ম

ছোট হোক বা বড়…জমি কিনে বাড়ি করার ইচ্ছা করে না থাকে। সকলেই চান জীবনে একটা হলেও নিজের বাড়ি করতে। আবার অনেকেই আছেন যারা কোথাও ঘুরতে গিয়ে ভাবেন যে সেখানে জমি কিনে বাড়ি তৈরি করলে কিই না ভালো হত।

জীবনের সবকিছু থেকে যখন একটু বিরতি পাই তখন মাঝে মাঝে মনে হয় শহর ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যাই। অনেকেই ভাবেন কোথাও গিয়ে সেখানে বাড়ি, খামার তৈরি করা থেকে শুরু করে, জৈব শাকসবজি চাষ করলে কিই না ভালো হত। কিন্তু ভারতের (India) হাজার হাজার শহরের মধ্যে এমন কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে আপনি জমি বা সম্পত্তি কিনতে পারবেন না। হ্যাঁ, ভারতের এই জায়গাগুলিতে এখানে সম্পত্তি কেনার অনুমতি নেই। বিদেশী তো নয়ই, ভারতের অন্য কোনো রাজ্যের মানুষও কিনতে পারবেন না। হ্যাঁ শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।

হিমাচল প্রদেশ

   

দার্জিলিং, সিকিমের পর এই হিমাচল প্রদেশ পর্যটকদের কাছে একটি দুর্দান্ত ভ্রমণ স্থল। এখানেও বহিরাগতরা জমি কিনতে পারে না। হিমাচলের রেশন কার্ড থাকলেও অকৃষি চাষিরাও এখানে কৃষিজমি কিনতে পারবেন না। ১৯৭২ সালের ভূমি মুজারা আইনের ১১৮ ধারা কার্যকর হয়, যার অধীনে কোনও অকৃষিজীবী বা বহিরাগত ব্যক্তি হিমাচল প্রদেশে কৃষিজমি কিনতে পারে না।

উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এমন অনেক রাজ্য রয়েছে যেখানে বাইরের লোকেরা জমি কিনতে পারে না। অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, মেঘালয়, সিকিম ও মণিপুর তেমনই রাজ্য। এমনকি উত্তর-পূর্বের বাসিন্দারাও একে অপরের রাজ্যে জমি কিনতে পারবেন না।

সিকিমে শুধুমাত্র সিকিমের বাসিন্দারাই জমি কিনতে পারেন। ভারতীয় সংবিধানের ৩৭১এফ অনুচ্ছেদে, যা সিকিমকে বিশেষ বিধান প্রদান করে, বহিরাগতদের জড়িত জমি বা সম্পত্তি বিক্রয় ও ক্রয় নিষিদ্ধ করে। রাজ্যের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় জমি ও সম্পত্তি কিনতে পারেন কেবল আদিবাসীরাই।

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর