বাংলা থেকে সপ্তাহে ৪ দিন অযোধ্যা! হাওড়া, শিয়ালদহ নয়! এই স্টেশন থেকে ট্রেন চালাচ্ছে রেল

অযোধ্যা (Ayodhya) নিয়ে দেশবাসীর মধ্যে উন্মাদনার শেষ নেই। সকলেই চাইছেন একবার হলেও রামলালার দর্শন করে আসতে। এক কথায় সকলেই অযোধ্যার রাম মন্দিরে অধিষ্ঠিত হওয়া ভগবান রামের এক দর্শন পাওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। আপনিও কি রাম মন্দির (Ram Mandir) দর্শন যেতে চান? তাহলে আপনার জন্য রয়েছে একটি বাম্পার খবর।

বিশেষ করে আপনিও যদি বাংলার (West Bengal) বাসিন্দা হয়ে থাকেন তাহলে তো কথাই নেই। কারণ যাতে এবার বাংলার মানুষও ভগবান রামের দর্শন করতে পারেন তার জন্য বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল। এদিকে পূর্ব রেলের এহেন সিদ্ধান্তের কারণে বেজায় খুশি সকলে। এবার খুব সহজেই বাংলা থেকে ট্রেন ছাড়বে এবং আপনি তাতে সওয়ার হয়ে রাম লালার দর্শন করতে সক্ষম হবেন।

   

কিন্তু এখানে একটি বিষয় বলে রাখা জরুরী, এই ট্রেনটি কিন্তু বাংলার বড় বড় কিছু স্টেশন যেমন হাওড়া (Howrah), শিয়ালদহ (Sealdah), সাঁতরাগাছি বা কলকাতা স্টেশন থেকে ছাড়বে না কিন্তু। এই ট্রেনটি ধরতে আপনাকে যেতে হবে মালদা (Malda)। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। কারণ পূর্ব রেল  মালদহের যাত্রীরা এখন পাঞ্জাবের সাথে সরাসরি রেল সংযোগ ব্যবহার করতে পারবেন। মালদা টাউন-দিল্লি-মালদা টাউন ফারাক্কা এক্সপ্রেসের স্টপেজ ভাটিন্ডা পর্যন্ত বাড়িয়েছে।

পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ট্রেন নম্বর ১৩৪১৩ মালদা টাউন-ভাতিন্ডা ফারাক্কা এক্সপ্রেস ভায়া সুলতানপুর (ত্রি-সাপ্তাহিক) প্রতি সোম, বৃহস্পতি ও শনিবার সন্ধ্যা ৭.৩৫ মিনিটে মালদা টাউন থেকে ছেড়ে তৃতীয় দিন সকাল ১১.১৫ মিনিটে ভাটিন্ডা পৌঁছাবে এবং ১৩৪৮৩ মালদা টাউন-ভাটিন্ডা ফারাক্কা এক্সপ্রেস ভায়া অযোধ্যা ধাম (সপ্তাহে ৪ দিন) প্রতি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭.৩৫ মিনিটে মালদা টাউন থেকে ছাড়বে।  বুধ, শুক্র ও রবিবার এবং তৃতীয় দিন সকাল ১০টায় ভাটিন্ডা পৌঁছাবে ট্রেন।

farakka express

ফিরতি যাত্রার সময়, ১৩৪১৪ ভাটিন্ডা-মালদা টাউন ফারাক্কা এক্সপ্রেস (সুলতানপুর হয়ে) প্রতি সোম, বুধবার এবং শনিবার বিকেল ৩টায় ভাটিন্ডা থেকে ছেড়ে তৃতীয় দিন সকাল ৬.৫০ মিনিটে মালদা টাউন পৌঁছাবে এবং ১৩৪৮৪ ভাটিন্ডা-মালদা টাউন ফারাক্কা এক্সপ্রেস (ভাটিন্ডা হয়ে প্রতি মঙ্গল, বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার বিকেল ৪.২৫ মিনিটে ভাটিন্ডা থেকে ছেড়ে তৃতীয় দিন সকাল ৬.৫০ মিনিটে মালদা টাউন পৌঁছাবে।

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর