মলদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা সরানো নিয়ে নয়া মোড়! নয়া দিল্লির বয়ানে চাপে দ্বীপরাষ্ট্রটি

ভারত (India) ও দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপের (Maldives) মধ্যে বিতর্ক যেন থামতেই চাইছে না। এবারও কিন্তু তার ব্যতিক্রম ঘটল না। মলদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা (India Army) প্রত্যাহারে মুইজ্জু (Mohamed Muizzu) সরকারের নির্দেশ নিয়ে আলোচনা করতে শুক্রবার নয়াদিল্লিতে ভারত ও মলদ্বীপের মধ্যে একটি উচ্চ পর্যায়ের কোর গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এই হাইভোল্টেজ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ১০ মে’র মধ্যে ভারত তাদের অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নিয়োজিত সেনাকর্মীদের পরিবর্তন করবে। তবে, মলদ্বীপ ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলির পরিষেবা অব্যাহত রাখবে যেগুলি হল দুটি নৌ হেলিকপ্টার এবং একটি ডর্নিয়ার বিমান।

   

এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই বৈঠক প্রসঙ্গে মালদ্বীপের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১০ মার্চের মধ্যে কোনো না কোনো প্ল্যাটফর্মে সেনা পরিবর্তন করতে রাজি হয়েছে ভারত। পরিষেবাতে থাকা বাকি দুটি ইউনিট ১০ মের মধ্যে প্রতিস্থাপন করা হবে। তবে, ভারতীয় পক্ষ বলছে অন্য কথা। ভারত কেবল বলেছে যে উভয় পক্ষই ভারতীয় বিমান চলাচল প্ল্যাটফর্মগুলির অব্যাহত পরিচালনার জন্য পারস্পরিক কার্যকর সমাধানে সম্মত হয়েছে।

এর কার্যত অর্থ হ’ল মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুয়াইজুর ক্রমাগত দাবি মেনে নিয়ে ভারত তার সামরিক কর্মীদের প্রত্যাহার করতে সম্মত হয়েছে, তবে কর্মীদের প্রতিস্থাপন কে করবে সে সম্পর্কে কোনও স্পষ্টতা নেই। মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন, মালদ্বীপের মাটিতে যে কোনও রূপে ভারতীয় সেনা মোতায়েন করা হলে তা দেশের গণতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকর হবে।

modi muijju

তিনি ভারতকে বলেছিলেন, ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার মলদ্বীপের জনগণের গণতান্ত্রিক ইচ্ছা। তবে ভারত চেয়েছিল যে হেলিকপ্টার এবং বিমানগুলি ভারত মহাসাগরের দ্বীপপুঞ্জে মেডিকেল ইভাকুয়েশনের মাধ্যমে ৫০০ জনেরও বেশি জীবন বাঁচিয়েছে এমন হেলিকপ্টার এবং বিমানগুলি মালেকে ধরে রাখুক।

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর