মালদ্বীপ (Maldives) নিয়ে বিতর্ক যেন থামারই নাম নিচ্ছে না। ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) অপমান এবং চিনের (China) প্রতি দরদী মনোভাব দেখানোই কি কাল হল দ্বীপরাষ্ট্রের? কারণ এই স্বর্গের মতো দেখতে সুন্দর মালদ্বীপের থেকে কার্যত মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন ভারতীয় থেকে শুরু করে ভারতের বিভিন্ন ভ্রমণ সংস্থা।
শুধু তাই নয়, কয়েক হাজার ফ্লাইট বুকিং, হোটেল বুকিং অবধি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এখন যেন সকলের নজর আটকে গিয়েছে ভারতের একটি সুন্দর জায়গা লাক্ষাদ্বীপের (Lakshadweep) ওপর। এখন সকলেই যেন মালদ্বীপকে ছেড়ে কেন্দ্রশাসিত এই জায়গায় যেতে চাইছেন। তবে এই বিতর্কের মাঝেই প্রকাশ্যে এল বড় তথ্য। লাক্ষাদ্বীপকে নিয়ে বড়সড় প্ল্যান করছে ভারত সরকার (Central Government) বলে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে।
লাক্ষাদ্বীপকে নিয়ে ভারতের প্ল্যান
মিনিকয় দ্বীপপুঞ্জে একটি নতুন বিমানবন্দর গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিমানবন্দরটি যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি বাণিজ্যিক বিমানসহ সামরিক বিমান পরিচালনা করতে সক্ষম হবে। সূত্রের খবর, একটি যৌথ এয়ারফিল্ড তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে যা যুদ্ধবিমান, সামরিক পরিবহন বিমান এবং বাণিজ্যিক বিমান পরিচালনা করতে সক্ষম হবে। এখানকার এয়ারফিল্ডের পরিকল্পনা কয়েক বছর আগে করা হয়েছিল। যদিও সম্প্রতি এই বিষয়টি নিয়ে আরও তৎপরতা শুরু হয়েছে।
ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হবে লাক্ষাদ্বীপ
সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে, দ্বীপপুঞ্জের উপরে একটি এয়ারফিল্ড থাকার ফলে ভারতের পদচিহ্ন আরও শক্তিশালী হবে কারণ এটি আরব সাগর এবং ভারত মহাসাগর অঞ্চলে নজর রাখার জন্য একটি ঘাঁটি হিসাবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। সম্প্রতি ভারতে আসা একটি জাহাজে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। ড্রোন হামলার মধ্যে জলদস্যুরাও জাহাজ ধরার চেষ্টা করছে। এটি এই ঘটনাগুলির উপর নজর রাখতেও সহায়তা করবে। ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনে প্রথম বাহিনী যা মিনিকয় দ্বীপপুঞ্জে একটি এয়ারস্ট্রিপ বিকাশের পরামর্শ দিয়েছিল।
মিনিকয় থেকে ভারতীয় বিমান বাহিনী পরিচালনায় এগিয়ে থাকবে
বর্তমান প্রস্তাব অনুযায়ী, ভারতীয় বিমান বাহিনী মিনিকয় থেকে অপারেশন পরিচালনায় এগিয়ে থাকবে। এদিকে পর্যটন ব্যবসাও ফুলে ফেঁপে উঠবে এই বিমানবন্দরকে ঘিরে বলে মনে করা হচ্ছে। এই মুহুর্তে দ্বীপ অঞ্চলে কেবল একটি এয়ারস্ট্রিপ রয়েছে, যা আগাত্তিতে রয়েছে এবং এটি কেবল মাত্র নির্দিষ্ট ধরণের বিমান চলাফেরার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। বিগত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের পর থেকেই এই লাক্ষাদ্বীপ নতুন করে সকলের আলোচনা ও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।