মাটির নীচে ছিল লুকিয়ে! ভারতে ৩০০০ বছরের প্রাচীন সভত্যার খোঁজ পেল IIT খড়গপুর, ASI

ফের শিরোনামে উঠে এলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার কিনা তাঁর গ্রামে মিলল কয়েক হাজার পুরনো সভ্যতার খোঁজ। কী শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু এটাই সত্যি। বিস্তারিত জানতে পড়ে ফেলুন এই প্রতিবেদনটি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গ্রাম গুজরাটের (Gujarat) ভডনগরে  (Vadnagar) প্রত্নতাত্ত্বিক (Archaeology) খননের সময় প্রায় ২৮০০ বছরের পুরানো বসতির প্রমাণ পাওয়া গেছে।

আইআইটি খড়্গপুরের (IIT Kharagpur) নেতৃত্বে গুজরাটের ভডনগরে খননকার্য চলছিল। এরপর IIT খড়্গপুরের ভূতত্ত্ব ও ভূপদার্থবিদ্যার অধ্যাপক ডঃ অনিন্দ্য সরকার বলেন, ‘আমরা গত চার-পাঁচ বছর ধরে এখানে এএসআইয়ের (Archaeological Survey of India) সঙ্গে কাজ করছি।‘

   

অনিন্দ্য সরকার জানিয়েছেন, ASI ২০১৬ সাল থেকে কাজ করছে এবং ইতিমধ্যে ২০ মিটার গভীরতায় ড্রিল করেছে। এখানে একটি অতি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহারও আবিষ্কৃত হয়েছে। তিনি বলেন, ভডনগরের ইতিহাস অনেক পুরনো। এখানে খননের সময় সাতটি সাংস্কৃতিক স্তর আবিষ্কৃত হয়েছে। প্রাচীনতম মানব বসতি ২৮০০ বছর বা ৮০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের। একই সময়ে, প্রত্নতাত্ত্বিক পর্যবেক্ষক মুকেশ ঠাকোর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভডনগরের গ্রামে পাওয়া ২৮০০ বছরের পুরানো বসতির ধ্বংসাবশেষ নিয়েও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

প্রত্নতাত্ত্বিক বিশ্লেষক মুকেশ ঠাকোর বলছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন থেকেই গুজরাটের ভডনগরের খনন কাজ চলছে। এখানে এক লাখেরও বেশি দেহাবশেষ পাওয়া গিয়েছে। এই সভ্যতা দেখলে মনে হয়, এখানে নিশ্চয়ই জল ব্যবস্থাপনা ও জলের স্তর ছিল।  প্রত্নতাত্ত্বিক বিশ্লেষক আরও জানান, এই জায়গায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩০ টি সাইট খনন করা হয়েছে। খননের সময় প্রাপ্ত আলামত দেখে মনে হয়, বৌদ্ধ, জৈন ও হিন্দু ধর্মসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষ এখানে অত্যন্ত সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করত।

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর