রেকর্ড আয়, দার্জিলিংয়ে টয় ট্রেন থেকে বিপুল লক্ষ্মীলাভ রেলের! অঙ্ক শুনলে চমকে যাবেন

গ্রীষ্মকাল হোক বা শীতকাল …পাহাড় (Hill) মানেই পর্যটকদের (Tourist) কাছে একটাই ঠিকানা আর তা হল দার্জিলিং (Darjeeling)। এই শৈল শহরে দেশ-বিদেশ থেকে বহু পর্যটক সারা বছরই এসে ভিড় জমান। হাতে কয়েকটা দিনের ছুটি পেলেই ভ্রমণ প্রিয় বাঙালিরা হয় দার্জিলিং যান নয়তো দীঘা, পুরী ঘুরতে যান। কিন্তু যারা পাহাড় ভালোবাসেন তাদের কাছে দার্জিলিং মানে হল একটি আলাদাই আবেগের বিষয়।

এদিকে দার্জিলিংয়ের অন্যতম বড় আকর্ষণ টয়ট্রেনকে (Darjeeling Toy Train) নিয়ে সকলের মধ্যে একটি আলাদাই উত্তেজনা কাজ করে। দার্জিলিং গেলেন অথচ টয় ট্রেনের বা জয় রাইডের আনন্দই নিলেন না তাহলে কিসের পাহাড় ঘুরতে যাওয়া। তবে এবার এই টয় ট্রেন চালিয়েই ব্যাপক লক্ষ্মীলাভ হল দার্জিলিং হিমালায়ন রেলওয়ের (Darjeeling Himalayan Railway)। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।

   

এই হিমালায়ন রেলওয়ের তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্বখ্যাত টয় ট্রেন পরিষেবা এবং উত্তর সীমান্ত রেলওয়ের ইউনেস্কো হেরিটেজ দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে (ডিএইচআর) ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এই আর্থিক বছরে ডিএইচআরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ উপার্জন এবং যাত্রী সমাগম রেকর্ড করেছে।

মালিগাঁওয়ের এনএফ রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে-র তরফে জানানো হয়েছে, আগের সমস্ত রেকর্ডকে ছাপিয়ে ডিএইচআর প্রায় ১৭.৩ কোটি টাকা আয় করেছে। আরও বেশি জয়রাইড পরিষেবা চালু করার কারণে বর্ধিত উপার্জন অর্জিত হয়েছিল। এই মরসুমে এই বিভাগে পর্যটকদের আগমন এবং যাত্রী ট্র্যাফিক বৃদ্ধির ফলে উপার্জন বৃদ্ধি পেয়েছে।

dhr toy train

বর্তমানে নিউ জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিং এবং জয় রাইড পরিষেবাগুলির মধ্যে দৈনিক পরিষেবা রয়েছে। ডিএইচআরে দার্জিলিং ও ঘুমের মধ্যে জয় রাইড পরিচালিত হচ্ছে। স্টিম জঙ্গল টি সাফারি, রেড পান্ডা, হিম কন্যার মতো বিশেষ পরিষেবাও চালু করেছে ডিএইচআর। এছাড়া ভালো লাভের আশায় চার্টার ট্রেন, বিশেষ ফিল্ম শুটিং ট্রেন এবং হেরিটেজ ডাইনিং কারও ডিএইচআরে কিছু আকর্ষণীয় পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।

দার্জিলিংয়ে একটি নতুন কোচ রেস্তোরাঁ এবং কার্শিয়াংয়ে একটি হেরিটেজ রেস্তোরাঁ খোলা হয়েছে
যাতে ডিএইচআরে আরও বেশি পর্যটক আকৃষ্ট করা যায়। ২০২৩ সালের ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঘুম শীতকালীন উৎসব সফলভাবে আয়োজন করা হয়েছিল। স্থানীয় লোকজন ও বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এ উৎসবে যোগ দেন। এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পর্যটনকে উৎসাহিত করতে নতুন কোচ চালু করা হয়েছে এবং নতুন পরিষেবা চালু করা হয়েছে।

পাশাপাশি দার্জিলিং স্টেশনকে হেরিটেজ টাইপের জানালা, কাঞ্চনজঙ্ঘা ভিউ পয়েন্ট ইত্যাদির মতো নতুন বৈশিষ্ট্য দিয়ে আপগ্রেড করা হচ্ছে। এক রেল আধিকারিক বলেন, “ঘুম স্টেশনের আপগ্রেডেশনের কাজও চলছে। এর সংরক্ষণ ও ঐতিহ্য রক্ষায় স্টেকহোল্ডার, ট্যুর অপারেটর, সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, স্থানীয় জনগোষ্ঠী ইত্যাদির সাথে নিয়মিত অংশীদারিত্ব করা হচ্ছে।”

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর