আচমকাই বাংলায় বন্ধ হল রেশন পরিষেবা! তালা সব ফেয়ার প্রাইস শপে, কারণটা মর্মান্তিক

ফের চরম বিপাকে বাংলার (West Bengal) মানুষজন। রেশন সংক্রান্ত (Rationing) সমস্যা যেন মিটতেই চাইছে না বাংলার মানুষের। আজও কিন্তু তার ব্যতিক্রম ঘটল না। আজ রেশন তুলতে গিয়ে চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে হল বাংলার মানুষকে।

জানা গিয়েছে, আজ বাংলাজুড়ে রেশনের দোকান (Ration Shop) বন্ধের ডাক দিয়েছে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশন। ফলে হয়রানির শেষ নেই সাধারণ আমজনতার। রেশনের দোকান বন্ধ থাকায় মাথায় হাত পড়েছে রেশনের ওপর নির্ভর করে থাকা মানুষজনের। এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে কী এমন হল যে আজ রেশনের দোকান বন্ধ? তাহলে সবিস্তারে জানতে পড়ে নিন আর্টিকেলটি।

   

জানা যাচ্ছে, মূলত এক রেশন ডিলারের অস্বাভাবিক মৃত্যুর জেরে একদিনের জন্য রেশন দোকান বন্ধের ডাক দিয়েছে রেশন ডিলারদের সংগঠন। ঘটনাকে ঘিরে সর্বত্রই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে ওই রেশন ডিলারের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল। মানসিক অবসাদে তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন বলে দাবি করেছে রেশন সংগঠন। মৃত রেশন ডিলারের নাম সুকুমার দাস।

রেশন ডিলারদের দাবি, খাদ্য সামগ্রী মজুতের হিসাবে ePos মেশিনে অনেক ক্ষেত্রে ভুল দেখাচ্ছে। সেকারণে এনিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এদিকে সংগঠনের একাংশের দাবি, এই ইপস মেশিনে বিভ্রান্তি থাকার জেরেই সুকুমার দাস মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। যে কারণে এরকম বড় পদক্ষেপ নিতে সম্ভবত বাধ্য হয়েছিলেন সুকুমার দাস।

ration 1

এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারের (Government Of West Bengal) দৃষ্টি আকর্ষণও করা হয়েছে বলে দাবি সংগঠনের। রেশন ডিলার অ্য়াসোসিয়েশনের নেতৃত্বের দাবি, খাদ্য দফতরের প্রধান সচিবের কাছেও এনিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাঁদের দাবি এভাবে যদি ভুল তথ্য দেখায় তাহলে স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় পড়ে যাবেন রেশন ডিলাররা। আজ শুধুমাত্র কাঁথিতে নয়, গোটা রাজ্য জুড়েই বন্ধ রয়েছে রেশন দোকান।

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর