ভুলে যান দার্জিলিং, শীতে ১০০০ টাকায় ঘুরে আসুন কাছের এই অচেনা গ্রাম থেকে! মিলবে স্বর্গসুখ

এই শীতের মরসুমে (Winter) সকলেই এখন কোথাও না কোথাও যাচ্ছেন। কেউ কেউ যাচ্ছেন সমুদ্র (Sea) তো কেউ কেউ যাচ্ছে পাহাড়ে (Hill)। আর পাহাড় মানেই হল বাঙালির হাতে কাছে দার্জিলিং (Darjeeling), কালিম্পং (Kalimpong) নয়তো সিকিম (Sikkim)।

তবে আপনিও কি সেই একই একঘেঁয়ে জায়গায় ঘুরে ঘুরে বিরক্ত হয়ে গিয়েছেন? আপনিও কি উত্তরবঙ্গের (North Bengal) কোনও অফবিট জায়গার খোঁজ করছেন? তাহলে আপনার জন্য রইল সোনায় সোহাগা খবর। আজ আপনারা এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে ঘুরে যাওয়ার এক নতুন ডেস্টিনেশনের সন্ধান পাবেন। বিশেষ করে আপনিও যদি নেচার লাভার হয়ে থাকেন তাহলে তো একদম জমে ক্ষীর।

   

এই শীতের ছুটিতে আপনিও একাই হোক বা পরিবারকে সঙ্গে করে ঘুরে আসতে পারেন গজলডোবা (Gajoldoba)। শিলিগুড়ি (Shiliguri) থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে বৈকুণ্ঠপুর বনের কাছে অবস্থিত তিস্তা নদীর পশ্চিম পাশে অবস্থিত একটি ছোট্ট গ্রাম গজলডোবা তিস্তা অববাহিকায় বাঁধের জন্য বিখ্যাত। গজলডোবা হিমালয়ের পাদদেশের পশ্চিম দক্ষিণে, পশ্চিমে মহানন্দা নদী এবং পূর্বে তিস্তা নদীর মাঝখানে অবস্থিত।

গজলডোবা এখনও অনেক পর্যটকের কাছে একটি অজানা গন্তব্যস্থল। এই জায়গাটিকে অনেকেই ডুয়ার্সের (Dooars) বুকে লুকিয়ে থাকা হিডেন জেমের আখ্যা দিয়েছেন। সত্যিই এই জায়গাটিতে যে একবার গেছে সে বারবার যেতে চাইবে। এখানকার পরিবেশ আপনার শরীর ও মন দুটোই একদম চাঙ্গা করে রেখে দেবে। অদূরে হিমালয়, সামনে নীল টলটলে জল, আশেপাশে পাখিদের কলরব শুনলে ভাববেন কোনও স্বর্গে এসে গেছেন কিনা।

gojoldoba

শীতের মরসুমে আপনি যদি এখানে যান তাহলে শ্রাইক, পেলিক্যান, ওয়াগটেল, রাডি শেলডাক ইত্যাদি ধরনের বহু পরিযায়ী পাখিদের সমাগম দেখতে পারবেন। চাইলে আপনি নৌকা ভ্রমণও করতে পারবেন। এছাড়া আকাশ যদি পরিষ্কার থাকে এবং আপনার কপাল যদি খুব ভালো থাকে তাহলে নৌকা ভ্রমণ করতে করতেই আপনি কাঞ্চনজঙ্ঘার (Kangchenjunga) দেখা পেতে পারেন। এছাড়া গরুমারা জাতীয় উদ্যানও ঘুরে আসতে পারেন আপনি। তাহলে আর দেরী কেন? আজই ট্রেন, বাসের টিকিট বুক করে ফেলুন এবং ঘুরে আসুন এই গজলডোবা থেকে।

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর