৩০ টাকার লটারিতে এক কোটি! খবর শুনেই ছেলের চিকিৎসা ফেলে পালালেন রাজমিস্ত্রী বাবা

একটা কথা আছে যেটা হয়তো সকলেই কোনো না কোনো সময়ে শুনে থাকবেন নিশ্চয়ই। আর যা হল ভগবান যখন দেন তখন উজাড় করে দেন। এক্ষেত্রেও কিন্তু কথাটা অক্ষরে অক্ষরে খাটে। কারণ একটা লটারির (Lottery) টিকিট (Ticket) রাতারাতি ভাগ্য বদলে দিল পেশায় এক রাজমিস্ত্রির জীবন।

হ্যাঁ শুনতে অবাক লাগলেও এটাই একদম দিনের আলোর মতো সত্যি। রাতারাতি একজন রাজমিস্ত্রি থেকে কোটিপতি হয়ে গেলেন। এই লটারির টিকিট এমন একটি জিনিস যেটি যে কোনো মানুষের জীবন আমূল বদলে দিতে পারে। এই লটারি কোনো মানুষকে রাতারাতি লাখপতি থেকে শুরু করে কোটিপতি অবধি করতে পারে। আবার কোনো মানুষকে রাতারাতি পথের ভিখারি করে ছেড়ে দিতে পারে। তবে এক্ষেত্রে যেন একদম উল্টোটা হল।

   

লটারির টিকিট কেটে এবং সেটা থেকে কোটি টাকা জিতে এখন সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছেন মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার রাজমিস্ত্রি দম্পতি। এমনিতেই লটারির টিকিট (Lottery Ticket) কাটার নেশা দীর্ঘদিনের ছিল পেশায় রাজমিস্ত্রি ও মুর্শিদাবাদের সুকচাঁদ মিস্ত্রির। লটারির টিকিট কাটা নিয়ে বাড়িতে নিত্যদিনের ঝামেলা লেগেই থাকত মিস্ত্রি পরিবারের। তবে এই লটারির টিকিটই যে সকলের কপাল খুলে দেবে কে ভাবতে পেরেছিল। সস্ত্রীক ও সন্তানকে নিয়ে ট্রেনে করে সুকচাঁদ কলকাতা যাচ্ছিলেন চিকিৎসার উদ্দেশ্যে। কিন্তু আচমকাই এই লটারি টিকিট জেতার খবরটি ফোনে পান তিনি এবং মাঝপথেই বাড়ি ফেরার ট্রেন ধরেন সুকচাঁদ মিস্ত্রি। এদিকে স্বাভাবিকভাবেই এই টাকা জিতে খুশি তিনি।

জানা গিয়েছে, একদিন এই লটারি কাটার নেশা থেকেই ভালো টাকার আশায় মাত্র ৩০ টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কেটে ফেলেন। কিন্তু এবারে যে তাঁর ভাগ্য এভাবে বদলে যাবে কে ভাবতে পেরেছিল। সম্প্রতি তিনি থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এদিকে লটারি জেতা প্রসঙ্গে সুকচাঁদ বলেন, “১ কোটি টাকা পেয়েছি ভাবতেই পারছি না। কলকাতায় যাচ্ছিলাম ডাক্তার দেখাতে। ৮টার পর খবর পেলাম। খবর পেয়েই ট্রেন ধরে চলে আসি।”

sukchand

অন্যদিকে এই ঘটনায় গোটা পরিবার যেমন আনন্দে আত্মহারা ঠিক তেমনই বিস্মিত সকলে। সুকচাঁদের স্ত্রীর কথায়, তাঁরা ভাবতেই পারছেন না এটা বাস্তবেই ঘটেছে। লটারি কাটা স্বামীর নেশার মতো। বিয়ে হয়ে এই বাড়িতে আসার পর থেকেই স্বামীর এই লটারির টিকিট নিয়ে পাগলামো দেখছেন। কিন্তু সত্যিই লটারির টিকিট কেটে যে এত টাকা পাওয়া যায়, তিনি বিশ্বাসই করতে পারছেন না। এদিকে স্থানীয় আজিজুল শেখের দোকান থেকে টিকিট কেটেছিলেন সুকচাঁদ। আজিজুল বলেন, “রাত ৮টার খেলা ছিল। ৩০ টাকার টিকিট। ১ কোটি টাকা জিতেছেন তিনি।”

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর