আম্বানির সম্পত্তির থেকেও বেশি! গোটা বিশ্বের সবথেকে বড় দানবীর এই ভারতীয়, পাত্তা পাবেনা মাস্কও

দান (Donate) করা মহৎ কাজ, এটা তো সকলেই জানেন। ইতিহাসের পাথায় উল্লেখ আছে, সবথেকে বড় দানবীর ছিলেন কর্ণ (Danveer Karan)। তবে বাস্তবেও কিন্তু এমন একজন মানুষ ছিলেন যিনি মানুষের পাশে দাঁড়াতে কয়েক হাজার কোটি টাকা বিলিয়ে দিতে এক মুহূর্তও ভাবেননি। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।

বিশ্বের সবথেকে বড় দানবীর ব্যক্তি একজন ভারতীয়

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় ভারত (India) ১১ নম্বরে থাকলেও বিশ্বের সর্বোচ্চ দাতাদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ভারত। হুরুন রিসার্চ ও এডেলগিভ ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত রিপোর্টে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে যা শুনলে আপনিও চমকে উঠবেন। টাটা গ্রুপের (Tata Group) প্রতিষ্ঠাতা জামশেদজি টাটা (Jamsetji Tata) গত ১০০ বছরে বিশ্বের বৃহত্তম দাতাদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন।

মুকেশ আম্বানির সম্পত্তির থেকেও বেশি দান করেছেন জামশেদজি টাটা

   

কেণ জানেন? তাকে বিশ্বের সবথেকে বড় দানবীরের আখ্যা দেওয়া হয়েছে। বিগত ১০০ বছরে জামশেদজি টাটা ৮২৯৭৩৪ কোটি টাকা দান করে বিশ্বের বৃহত্তম জনহিতৈষী হিসাবেও মনোনীত হয়েছেন। বিল গেটস (Bill gates) দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। এই পরিমাণ রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) মোট নিট সম্পদের চেয়ে বেশি।

টাটা ১৮৭০-এর দশকে সেন্ট্রাল ইন্ডিয়া স্পিনিং ওয়েভিং অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি শুরু করেন। এরপর ১৮৯২ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য জে.এন. টাটা এনডাউমেন্ট প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু সর্বদা জামশেদজি টাটাকে ‘ওয়ান ম্যান প্ল্যানিং কমিশন’ হিসাবে স্মরণ করতেন।

jameshed

জামশেদজি টাটা তার বেশিরভাগ অনুদান শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে করেছিলেন। টাটা ১৮৯২ সালে তার দাতব্য কাজ শুরু করেছিলেন। জামশেদজি টাটা ১৯০৪ সালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এবং টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান ইমেরিটাস রতন টাটা (Ratan Tata) এখন টাটা গ্রুপের জনহিতকর কার্যক্রমের দেখভাল করছেন।

রতন টাটা, যিনি জামশেদজির পরে তাঁর উত্তরাধিকারী, অনুদানের দিক থেকেও খুব বেশি পিছিয়ে নেই। টাটা গ্রুপ করোনা মোকাবিলায় ১৫০০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছিলেন, যা ছিল ভারতীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর সবচেয়ে বড় অনুদান। হুরুন ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ রিসার্চার আনাস রহমান জুনায়েদ বলেন, “বিশ্বের বৃহত্তম জনহিতৈষী হিসেবে জামশেদজি টাটার নাম ঘোষণা করা ভারতের জন্য গর্বের বিষয়।“

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর