নতুন করে দেশের আবহাওয়া (Weather) বদলের ইঙ্গিত দিল হাওয়া অফিস, যা শুনে আপনারও চোখ একপ্রকার কপালে উঠে যেতে পারে বৈকি। বিগত কিছু সময় ধরে দেশের একের পর এক রাজ্যের ঠান্ডা রীতিমতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল। শীত নিয়ে ডিসেম্বর মাসে একপ্রকার সকলের অভিযোগ থাকলেও জানুয়ারি মাসে সেই অভিযোগ সবকিছু পুষিয়ে নিয়েছে রীতিমতো শীতল আবহাওয়া।
তবে নতুন করে ফের একবার আবহাওয়া বদল হতে চলেছে দেশের বহু রাজ্যের বলে জানালেন হাওয়া অফিসের বিজ্ঞানীরা। মূলত বিগত দুদিন ধরে শীতের প্রকোপ একপ্রকার একদমই কমে গেছে বাংলায়। উল্টে হু হু করে তা বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। তাপমাত্রা ২০-র নিচ থাকলেও বেশ গরম আবহাওয়ায় অনুভূতি করতে পারছেন বাংলার মানুষজন। এহেন অবস্থায় সকলের মুখে একটাই প্রশ্ন তাহলে কি শীত বিদায়ের পথে? এই বছর ফেব্রুয়ারি কিছুটা শীতল এবং উষ্ণ হবে বলে জানান হল আইএমডির (India Meteorological Department) তরফে।
ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহে ঠান্ডা থাকবে। যদিও তৃতীয় ও শেষ সপ্তাহে রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকবে। প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহে তাপমাত্রার ওঠানামা একই থাকবে। ফেব্রুয়ারি মাসে গড় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যখন গড় বৃষ্টিপাত ৭.৪ মিমি। এবার বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। আবহাওয়াবিদ হিমাংশু শর্মা জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারিতে শীত ও গ্রীষ্মের মেলবন্ধনে সাক্ষী থাকবেন সকলে।
অর্থাৎ সোয়েটার, জ্যাকেট ছেড়ে রাস্তায় এবার ছাতা নিয়ে বেরোনোর দিন শুরু হতে চলেছে বলে আশঙ্কা অনেকের। বর্তমানে যারা পাহাড়ে ঘুরতে গেছেন তাদের এখন এক কথায় পোয়া বারো। কারণ সিকিম থেকে শুরু করে দার্জিলিং-এর কিছু পার্বত্য এলাকা যেমন সান্দাকফু, ধত্রে, ফালুটের মতো জায়গায় তুষারপাত হচ্ছে। সেইসঙ্গে বৃষ্টিও হচ্ছে।
আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের মতে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জন্য পাহাড়ে বৃষ্টি এবং তুষারপাত হচ্ছে। যেহেতু মেঘের উচ্চতা যথেষ্ট রয়েছে, ফলে তা পাহাড়ের কাছাকাছি অবস্থান করছে এবং সেখানেই বৃষ্টিপাত ঘটাচ্ছে।
এদিকে আবহাওয়া দফতরের সিকিমের কেন্দ্রীয় অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলছেন, ‘উত্তর-পূর্ব ভারতে ফেব্রুয়ারিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকবে। তবে কোথায় কোথায় গরমের প্রকোপ বেশি থাকবে, তা এখনই স্পষ্ট নয়। তবে এই অঞ্চলের প্রতিটি রাজ্যে বৃষ্টি হবে স্বাভাবিক।’
এদিকে উত্তরবঙ্গ ভিজলেও মোটের উপর সমতল শুষ্কই থেকে যাচ্ছে। যদিও বেশি দিন আর এই শুষ্ক আবহাওয়ার জন্য হা হুতাশ করতে হবে না সাধারণ মানুষকে। কারণ আসছে বৃষ্টি সেইসঙ্গে বাড়বে তাপমাত্রাও।