চাকরি পেয়েই বদলে গিয়েছে মেয়ে! এখন ঝগড়া চলছে বাবার সাথে, সানাকে নিয়ে বেফাঁস সৌরভ

সব বাবা মায়ের কাছেই তাদের সন্তান চোখের মণি হয়। সন্তানকে সারাজীবন যে কোনও আপদ বিপদ থেকে রক্ষা করে রাখতে কিই না করেন বাবা মা। ঠিক তেমনই, মেয়ে সানা অন্তঃ প্রাণ ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। সব বাবা মাই হয়তো নিজের ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বেশি সংবেদনশীল, কিন্তু সৌরভ যে একটু বেশিই ওভার প্রোটেকটিভ তা বারবার সকলের সামনে উঠে এসেছে।

দাদাগিরির (Dadagiri Unlimited) মঞ্চে এবারে মেয়ে সানাকে (Sana Ganguly) নিয়ে একটি বিষয় ফাঁস করলেন বাবা সৌরভ তা শুনে সকলেই কার্যত চমকে গিয়েছেন। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে, মেয়ে কি তবে লন্ডনে (London) চাকরি (Job) পেয়ে একদম বদলেই গেল? এমনিতেই দাদাগিরির মঞ্চে ‘দাদা; সৌরভ যেমন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সেলেব্রিটিদের নানান প্রশ্ন করেন, ঠিক তেমন ভাবেই অনেকেই সৌরভকে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে প্রশ্ন করেন।

   

এবারও কিন্তু তার ব্যতিক্রম হল না। সম্প্রতি রবিবারের দাদাগিরি এক কথায় জমজমাট হয়ে উঠেছিল। কারণ রবিবার রাতে সৌরভের শো-তে হাজির হয়েছিল ‘ফুলকি’ পরিবারের সদস্যরা। এরপর ফুলকির শালিনী ওরফে শার্লির সঙ্গে আড্ডার ফাঁকেই উঠে এল সানা প্রসঙ্গ। শার্লি ‘দাদা’-কে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তোমার সঙ্গে নিজের বাবার মিল খুঁজে পাই। মেয়ের সুবিধায় সব অসাধ্য সাধনে তৈরি থাকেন তাঁর বাবা, যেমনটা তুমি সানার জন্য করছ। বাবার আমার ভীষণ ক্লোজ, কিছু কিছু বিষয়ে আমি তোমার সঙ্গে আমার বাবার খুব মিল পাই…আমি শুনেছি যে তুমি সানাকে ভীষণ প্রোটেক্ট করতে, স্কুলে নিয়ে যেতে। ও ফোন করে তোমার মন ভালো থাকে, না করলে মন খারাপ লাগে।’

এদিকে এই কথা শুনে খানিক যেন আবেগপ্রবণ হয়ে যান দাদা। এরপরেই নিজেকে সামলে নিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন ঝগড়া চলছে… সানা খুব একটা কথাবার্তা শোনে না। সব বিষয়ে খুব একটা মতামত রয়েছে। মতামত নিয়ে বাবার সঙ্গে ঝগড়াঝাটি হয়, তবে হ্যাঁ, সানাই আমার সবচেয়ে প্রিয়’।

souravsana

এদিকে সম্প্রতি সৌরভের ৫০তম জন্মদিনে সোশ্যালে ভাইরাল হয়েছিল এক ভিডিও। লন্ডন আইয়ের সামনে মনের আনন্দে, প্রাণ খুলে নাচতে দেখা গিয়েছিল সৌরভকে। এই ভিডিওটি সানার ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে রয়েছে। এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সৌরভ ও তাঁর বন্ধুরা নাচছেন। এদিকে রাস্তায় মুখ ঢেকে বসে পড়েন সৌরভ কন্যা। সেই ভিডিও নিয়েই শার্লি জানতে চান। সৌরভ জবাবে বলেন, ‘সানা সবচেয়ে বেশি লজ্জিত ছিল। বাবাকে নাচতে দেখলে কেউ এত লজ্জায় পড়তে পারে, ওকে না দেখলে আমার জানা ছিল না। তবে ও যত এমবারেসড হয়েছে, আমার আর আমার বন্ধুদের নাচ তত বেড়েছে’।

 

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর