অনুপ্রেরণা খোদ মমতা! এই জেলায় তৈরি হল ‘হাওয়াই চটি’ সেলফি স্পট, ছবি নিতে হুড়োহুড়ি

বছরে পর বছর কেটে গেলেও একটি জিনিস কিন্তু মানুষ কোনওদিনই পরতে অস্বীকার করেন না। আর সেটা হল হাওয়াই চপ্পল (Hawai Chappal)। মানুষের জীবনের সঙ্গে এই চপ্পল ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। হাওয়াই চপ্পল পড়া মানুষ ছেড়ে দেবে সেটা মোটেও না। অনেকেই আছেন যারা এই হাওয়াই চপ্পলের ব্যবসা করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। অনেকেই আছেন যারা বছরের পর বছর ধরে এই চপ্পলের ব্যবসা (Business) করে দু’হাত ভরে টাকা উপার্জন করছেন। তবে এবার এই হাওয়াই চপ্পল নিয়েই বড়সড় সিদ্ধান্তের পথে হাঁটলো পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government Of West Bengal), যা শুনলে আপনিও একপ্রকার চমকে উঠবেন।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই (Mamata Banerjee) যেন সকলের কাছে অনুপ্রেরণা। দেশ হোক বা বিদেশ, যে কোনো জায়গাতেই তিনি যান না কেন, একটি জিনিস ভীষন কমন আর সেটা হল তাঁর হাওয়াই চটি। এই জিনিসটি নিয়ে অনেকের ঠাট্টার মুখেও পড়তে হয়েছে তাকে বৈকি। যদিও এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই প্রেরণা হিসেবে ভেবে রাজ্যের এক জায়গায় তৈরি হল ‘হাওয়াই চপ্পল’ সেলফি জোন। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।

   

অনেকের কাছেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাওয়াই চপ্পল আলোচনার বিষয়। আর এই নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহলের শেষ নেই। ফলে এই বিষয়টিকে আলাদা মাত্রাতে পৌঁছে দিতে হাওয়াই চপ্পল সেলফি জোন তৈরি করা হয়েছে। আর বিশেষ জিনিসটি দেখতে আপনাকে যেতে হবে ডুয়ার্সের (Dooars) নাগরাকাটা ব্লকের একটি বেসরকারি পর্যটন কেন্দ্রে।

উত্তরবঙ্গ (North Bengal) মানেই সকলের কাছে দার্জিলিং, কালিম্পঙ নয়তো সিকিম। কিন্তু এই জায়গাগুলোর পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের এই নাগড়াকাটা ব্লকও অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই পর্যটন কেন্দ্রটি জনপ্রিয়। এই জায়গাটি জনপ্রিয়তা পাওয়ার পিছনে আরও একটি বড় কারণ হলো, এখানে উল্টো বাড়ি দেখা যায়। জানা যাচ্ছে, হাওয়াই চপ্পল সেলফি জোন তৈরি করার পিছনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণা লুকিয়ে রয়েছে। সবথেকে বড় কথা, এই হাওয়াই চপ্পলটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের হাওয়াই চপ্পলের অনুকরণে তৈরি।

hawai chappal

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর