সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে ছিল মাখো মাখো প্রেম, তাহলে কেন বিয়ে করলেন না মাধবী? হল ফাঁস

মাধবী মুখোপাধ্যায় (Madhabi Mukherjee)…. বাংলা ইন্ডাস্ট্রির একটি উজ্জ্বলতম নাম। বিগত ১০ জানুয়ারি ছিল তাঁর জন্মদিন। ৮২ বছরে পা দিলেন এই বর্ষীয়ান বাঙালি অভিনেত্রী। মাধবী যখন ইন্ডাস্ট্রিতে যোগ দেন, তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র আট বছর। তার পরিবার বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় চলে আসার পর তার বাবা-মা আলাদা হয়ে যান।

মাধবী – তখন মাধুরী নামে পরিচিত – তার মায়ের সাথে থাকতেন। এক সময় মাধবী জানান, “আমাদের আর্থিক অবস্থা এমন ছিল যে আমাকে কাজ করতে হয়েছিল। তাই আমি নাটকে অভিনয় শুরু করি।” ১৯৫০ সালে দুই বেয়াই ও কাঁকনতলা লাইট রেলওয়ে চলচ্চিত্রে তার প্রথম ভূমিকা ছিল। মৃণাল সেনের ২২শে শ্রাবণ (১৯৬০) চলচ্চিত্রে প্রধান অভিনেত্রী হিসেবে তার অভিষেক হলে তিনি মাধবী নাম রাখেন।

   

তারপর একদিন কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায় (Satyajit Ray) মাধবীকে একটি বার্তা পাঠিয়েছিলেন যে তিনি তার সাথে দেখা করতে চান। পরে মাঝে বেশ কিছু সময় দুজনের মধ্যে যোগাযোগ না থাকলেও একদিন আচমকাই যদিল সত্যজিৎ রায় যোগাযোগ করেন এবং মাধবীকে মহানগরের একটি চিত্রনাট্য পাঠান। পরে অবশ্য চারুলতা, তারপর ১৯৬৫ সালে তৈরি হয় কাপুরুষ। এরপর সত্যজিৎ রায় আর কখনো তার সঙ্গে কাজ করেননি।

আপনি কি জানেন যে মাধবী মুখোপাধ্যায় এবং কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের মধ্যে মাখামাখো প্রেম ছিল? শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। আর এই নিয়ে একবার অকপটে স্বীকারও করে নিয়েছিলেন মাধবী মুখোপাধ্যায় এমনকি তিনি বিবাহিত সত্যজিৎ রায়কে এতটাই ভালোবেসে  ফেলেছিলেন যে একবার আত্মহত্যা করারও চেষ্টা করেছিলেন।

madhavi satyajit

অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, ‘আমি সেই মানুষটাকে ভালোবাসতাম। তিনিও যে আমায় ভালোবাসতেন সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ ছিল না। কিন্তু আমাদের কারও একে অন্যের প্রতি কোনও প্রত্যাশা ছিল না কখনই। ওঁকে দখল করার মানসিকতা ছিল না আমার।’ মাধবী জানান, ‘উনি বিবাহিত ছিলেন। আমি একজন মহিলা হয়ে আরেকজন মহিলার ক্ষতি করতে চাইনি। তবে আমি একবার আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলাম। একসঙ্গে ৬০টা ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলাম। হাসপাতালে চারদিন ছিলাম, তাও অজ্ঞান অবস্থায়।’

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর