কলকাতাঃ আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। কখনও লাশ বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ, আবার কখনও টাকার বিনিময়ে পাস করিয়ে দেওয়া সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে গুণধর সন্দীপের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি আর্থিক তছরুপের দায়ে দায়ী তিনি। এহেন অবস্থায় সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সবাই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। আরজি কর কাণ্ড প্রকাশ্যে আসতেই সন্দীপ ঘোষ অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেদিনই তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিযুক্ত করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
তবে এখন চাপে পড়ে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকেও সরানো হয়েছে সন্দীপ ঘোষকে। আর তারপরে তাঁকে একটি নতুন পদে রাখা হয়েছে। তবে এবার আর কোনও কলেজের অধ্যক্ষ নয়। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ সুহৃতা পালকেও সরিয়ে বরাসত মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্যভবন।
স্বাস্থ্য ভবনে ‘অফিসার অন স্পেশ্যাল ডিউটি’ পদে সন্দীপ ঘোষ
এদিকে গুণধর সন্দীপ ঘোষ স্বাস্থ্য ভবনে ‘অফিসার অন স্পেশ্যাল ডিউটি’ পদে নিযুক্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য ভবনের তরফে এই নিয়ে বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। সুহৃতা পাল সরার পর আরজি করের নয়া অধ্যক্ষের পদে বসলেন বরাসত মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে সন্দীপ ঘোষ কীভাবে একের পর এক পদ পাচ্ছেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।