প্রতীক্ষার অবসান! নশিপুর রেল ব্রিজ দিয়ে চলল ট্রেন, এবার উত্তরবঙ্গ যাওয়া হবে আরও সহজ

দেশের সাধারণ মানুষের রেল যাত্রাকে আরও মসৃণ করতে নিরলসভাবে কাজ করেই চলেছে ভারতীয় রেল (Indian Railways)। মানুষের সুযোগ সুবিধা, স্বাচ্ছন্দ্য-এর কথা ভেবে একদিকে যেমন ভারতীয় রেল নতুন নতুন রেল রুট শুরু করছে, ঠিক সেভাবেই বেশ কিছু ট্রেন রেল ট্র্যাকে নামানোর প্রস্তুতি করছে।

ইতিমধ্যে বাংলা সহ গোটা দেশজুড়ে বন্দে ভারত, অমৃত ভারত-এর মত ট্রেন ছুটে চলেছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে বুলেট ট্রেন অবধি পেয়ে যাবে দেশ। এরই মাঝে এবার একটি না শুরু হওয়া দীর্ঘ প্রতীক্ষিত রেল রুট নিয়ে প্রকাশ্যে বড় তথ্য উঠে এল। এই রেল রুট যদি একবার শুরু হয়ে যায় তাহলে বাংলার সাধারণ রেল যাত্রীদের ভ্রমণের সংজ্ঞাটাই এক কথায় বদলে যাবে বলে খবর।

   

আজ এই প্রতিবেদনে কথা হচ্ছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নসিপুর রেল ব্রিজ (Nashipur Rail Bridge) নিয়ে। প্রায় দুই দশকের অপেক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে এবার। কারণ মার্চ মাসে ভাগীরথী নদীর ওপরে তৈরি হওয়া নসিপুর রেল সেতু দিয়ে ছুটবে দূরপাল্লার ট্রেন। জোরকদমে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এই রেল সেতুর দৈর্ঘ্য ৩১৩ মিটার। মুর্শিদাবাদ এবং আজিমগঞ্জ জংশনের সংযোগস্থল হিসেবে গড়ে উঠেছে এই রেল সেতুটি।

অনেকেই হয়তো জানেন না যে এই লোহার রেল সেতু নির্মাণের জন্য শীলমোহর পড়েছিল আজ থেকে দুই দশক আগে। শুরু হয়েছিল কাজ, তৈরি হয়েছিল ব্রিজও। তবে রেল জমি জটের কারণে বেশিদূর এগোতে পারেনি। এরপর মাঝখানে গঙ্গা দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল। তবে এবার সব জল্পনার অবসান ঘটতে চলেছে। এই রেল সেতুটির ওপর দিয়ে ছুটতে দেখা গেল গাড়িকে। প্যাসেঞ্জার ট্রেন নয়, পাথর নিয়ে ছুটল একটি মালগাড়ি।

২০০৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর । তৎকালীন রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব এই রেল সেতুটির শিল্যান্যাস করেন। তারপর ২০০৬ সাল থেকে শুরু হয় কাজ। ২০১০ সালের মধ্যে ভাগীরথীর ওপর গড়ে ওঠে রেল সেতুটি। তারপরেই আটকে যায় কাজ। জমি জটের কারণে আটকে পড়ে নশিপুর রেল ব্রিজের কাজ। এরপর ২০২৪-এ সেই কাজ প্রায় শেষের দিকে বলাই চলে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মার্চ মাসেই এই সেতুর ওপর দিয়ে প্যাসেঞ্জার ট্রেনকে ছুটতে দেখা যাবে।

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর