কথামত মাইলেজ না দেওয়ার জের! মারুতির বিরুদ্ধে মামলা করে এত টাকা পেলেন গাড়ির মালিক

ভারতের (India) বড় বড় গাড়ি (Car) সংস্থাগুলি এখন নিজেদের একের পর এক গাড়ির মডেল এনে সকলকে চমকে দিচ্ছে। মাইলেজ, ইভি (Electric vehicle) সহ আরও অনেক কিছু ফিচার্স এনে সকলকে চমকে দেওয়া কাজ করছে গাড়ির কোম্পানিগুলি। যদিও সংস্থাগুলি যে মাইলেজ দাবি করে এবং গ্রাহকরা আসলে কী পান তার মধ্যে এখন আকাশ পাতাল পার্থক্য দেখা যাচ্ছে।

এই পার্থক্য বিভিন্ন ড্রাইভিং অবস্থা, ড্রাইভিং অভ্যাস, আবহাওয়া এবং রাস্তার অবস্থার উপর নির্ভর করে। তবে রিয়েল মাইলেজ যদি ক্লেইম মাইলেজের চেয়ে অনেক কম হয় তাহলে যে কারো সমস্যা হবেই। প্রায় ২০ বছর আগে এক মারুতি (Maruti Suzuki) গ্রাহকের সঙ্গে এমনটাই ঘটেছিল। তিনি আজ থেকে ২০ বছর আগে Maruti-র বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, সংস্থা মাইলেজ নিয়ে যে কথাটা বলেছিল সেটা মিথ্যে।

   

এদিকে অবশেষে দীর্ঘ ২০ বছর পর একপ্রকার ন্যায় পেলেন গাড়ি ক্রেতা।  সম্প্রতি এই মামলায় মারুতি সুজুকিকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ন্যাশনাল কনজিউমার ডিসপুটস রিড্রেসাল কমিশন (এনসিডিআরসি) মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়া লিমিটেডকে এক গ্রাহককে তার গাড়ির মাইলেজ সম্পর্কিত বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়ার জন্য এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

এই অভিযোগ দায়ের করেছিলেন রাজীব শর্মা। ২০০৪ সালে প্রতি লিটারে ১৬-১৮ কিলোমিটার মাইলেজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে গাড়িটি কিনেছিলেন তিনি। তবে কেনার পর গাড়ি থেকে প্রতি লিটারে গড়ে প্রায় ১০.২ কিলোমিটার মাইলেজ পেতে থাকেন রাজীব শর্মা। এরপরেই গর্জে ওঠেন তিনি। প্রতারিত বোধ করে রাজীব শর্মা জেলা গ্রাহক বিরোধ নিষ্পত্তি ফোরামের কাছে সুদ, রেজিস্ট্রেশন খরচ এবং বীমা সহ গাড়ির ক্রয়মূল্যের পুরো পরিমাণের ৪,০০,০০০ টাকা ফেরত চেয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।maruti suzuki

এই সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হয়ে মারুতি সুজুকি রাজ্য কমিশনের কাছে আবেদন করে, যা জেলা ফোরামের আদেশ বহাল রাখে। এরপরে বিষয়টি বিচারপতি ইন্দ্রজিৎ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন এনসিডিআরসি পর্যন্ত পৌঁছয়। এনসিডিআরসি পূর্ববর্তী রায়গুলিও বহাল রেখে বলেছে যে মারুতি সুজুকির বিজ্ঞাপনে মাইলেজ দাবি বিভ্রান্তিকর এবং গ্রাহক অধিকার লঙ্ঘন করছে। এনসিডিআরসি বেঞ্চ বলেছে, “আমরা এই বিষয়ে ২০ অক্টোবর, ২০০৪ তারিখের বিজ্ঞাপনটি মনোযোগ সহকারে পড়েছি এবং আমরা বিশ্বাস করি যে এটি একটি বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন।“

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর