ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) নিয়ে ঠাট্টা বা অপমান, যাইহোক করাই যেন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ালো মলদ্বীপের (Maldives)। এই সময়ে যখন এই দ্বীপরাষ্ট্রটি অন্যান্য পর্যটকদের পাশাপাশি ভারতীয়দের সমাগমে থিকথিক করত এখন যেন সেই জায়গা খাঁ খাঁ করছে।
ভারতীয় তো নয়েই, অন্যান্য দেশের কয়েকজন হাতেগোনা পর্যটকই এই মলদ্বীপে ঘুরতে যাচ্ছেন। আর এটা দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জন্য যে মোটেই ভালো নয় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বেশ কিছু দিন অতিবাহিত হতে চললেও মলদ্বীপকে বয়কট করার ট্রেন্ড এখনও শেষ হয়নি।
বর্তমান সময়ে ফেসবুক থেকে শুরু করে টুইটার, ইনস্টাগ্রামের পাতা জুড়ে শুধুই বয়কট মলদ্বীপ হ্যাশট্যাগ। এই দ্বীপরাষ্ট্রের থেকে সকলেই যেন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে একপ্রকার। এখন সকলেই লাক্ষাদ্বীপ (Lakshadweep) নিয়ে মাতামাতি করতে শুরু করে দিয়েছে বেশি করে। আপনি জানলে অবাক হবেন, মালদ্বীপের ব্যবসা (Business) প্রত্যেকদিন ৮ কোটি টাকার ধাক্কা খাচ্ছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, মলদ্বীপ প্রতিদিন ৮.৬৪ কোটি টাকা লস খাচ্ছে পর্যটন ব্যবসায়। ভারতের জনগণের মালদ্বীপ বয়কটের প্রবণতার পরে, লোকেরা সেখানে তাদের ভ্রমণ কমিয়ে দিয়েছে। ভারতের বয়কটের ফলে কোটি কোটি টাকার ক্ষতির পরিপ্রেক্ষিতে মালদ্বীপ একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। রাজস্ব ক্ষতির কথা মাথায় রেখে মলদ্বীপ সরকারও এখানে ভ্রমণের খরচ অর্ধেক করে দিয়েছে, তার পরেও ভারতের মানুষ এখানে যেতে প্রস্তুত নয়।
এদিকে মলদ্বীপের ১৪ হাজারেরও বেশি বুকিং বাতিল হয়েছে। উল্টে আগ্রহ বাড়ছে লাক্ষাদ্বীপকে নিয়ে। সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে লাক্ষাদ্বীপ নিয়ে সার্চ। জানা যাচ্ছে, বিগত কয়েকদিনে নাকি প্রায় ৩৪ গুণ বেড়েছে লাক্ষাদ্বীপকে নিয়ে সার্চ।
মলদ্বীপের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাদের দেশে বসবাসরত ৪৪ হাজার পরিবার এখন সংকটে রয়েছে। ভারতের মানুষের ক্ষোভের পর এখানকার পর্যটন খুব খারাপভাবে প্রভাবিত হয়েছে। ভারতীয়দের এই বয়কটের পর থেকে মালদ্বীপের রাজস্বে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বিশ্ব ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভারতীয়দের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। যদি গত বছরের কথা বলি, তবে এই সময়ে ভারতের মানুষ মলদ্বীপে প্রায় ৩,১৫২ কোটি টাকা ব্যয় করেছে।