বাংলার এই স্টেশনে খাবারের গুণগত মান জঘন্য! বড় পর্দাফাঁস করল রেল, খেতে করা হল মানা

যে কোনো জায়গায় যাওয়ার ক্ষেত্রে ভারতীয় রেলে (Indian Railways) ভ্রমণ করার একটা মজাই আলাদা থাকে। ভারতীয় রেলের সঙ্গে ভ্রমণ করা একদিকে যেমন সস্তার ঠিক তেমনি আরামদায়ক হয়ে উঠছে দিনে দিনে। তবে ট্রেন যাত্রা হবে আর খাবারের কথা হবে না তা কি কখনো হতে পারে? ট্রেনে (Train) ভ্রমণ খাবার ছাড়া এক কথায় জাস্ট অসম্পূর্ণ। অনেকেই আছেন যারা বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে আসেন ট্রেনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে।

আবার অনেকেই আছেন যারা ট্রেনে কখন খাবার নিয়ে লোকজন উঠবে সেটার অপেক্ষা করে থাকেন। আবার কেউ কেউ আছেন যারা ট্রেন যদি কোনও রেল স্টেশনে থামে সেখানে নেমে সেখানকার খাবার খান। আপনারও কি যেখানে সেখানে ট্রেন থেকে নেমে বা ট্রেনে ওঠার আগে রেল স্টেশনে খাবার খাবার স্বভাব আছে তাহলে আজকেই সেই স্বভাব দূর করুন নইলে ভবিষ্যতে আপনারই অসুবিধা হতে পারে বৈকি। হ্যাঁ শুনতে অবাক লাগলো এটাই সত্যি।

   

সম্প্রতি বাংলার একটি রেল স্টেশনের খাবারের গুণগত মান নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে। রেল স্টেশনে বিক্রি হওয়া খাবারে গুণগত মান নিয়ে চিন্ত বেড়েছে পূর্ব রেলের (Eastern railway zone)। সম্প্রতি একগুচ্ছ পূর্ব রেলের কর্তারা ব্যান্ডেল স্টেশনে (Bandel Station) হানা দিয়েছিলেন। সেখানে বিক্রি হওয়া খাবার, ঘুগনির কিছু নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে দেওয়া হয় হাওড়া অর্থোপেডিক হাসপাতালে। তবে ফলাফল দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গেছে পূর্ব রেলের।

হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, এই খাবার কারোর পক্ষেই সেবন করা ঠিক হবে না । এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। কয়েকদিন আগেই ব্যান্ডেল স্টেশনের পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে একটি  ভিজিল্যান্স চেক হয়েছিল, যেখানে ভিজিল্যান্স ইন্সপেক্টর, মুখ্য টিকিট ইন্সপেক্টর, স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট  এবং ব্যান্ডেল-র আরপিএফ ইন্সপেক্টর উপস্থিত ছিলেন। এই স্টেশনে বিক্রি হওয়া খাবার নিয়ে প্রায়শই অভিযোগ ওঠে। এরপরেই রেলের তরফে এই অভিযান চালানো হয়। যারপরে উঠে আসে এহেন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। ফলে আপনারও যদি স্টেশনে খাবারের স্বভাব থেকে থাকে তাহলে তা বদলান।

food

অন্যদিকে স্টেশনে খাবার বিক্রেতাদের উদ্দেশ্যে পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ট্রেনের মধ্যে বা স্টেশনে খাবার বিক্রি করতে গেলে রেলের তরফে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিতে হয়। যদি কেউ এই নির্দেশ না মানে তাহলে উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে চরম পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর