পুরী তো ছিলই, এবার এক ট্রেনেই সূর্য মন্দির! কোনারক অবধি নয়া লাইনের ঘোষণা রেলের

ট্রেন (Train) ভারতের (India) পরিবহণের (Transport) ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। গত প্রায় ২০০ বছর ধরে এটি মানুষের যাতায়াতের একটি সহজ মাধ্যম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। ট্রেনে ভ্রমণের নিজস্ব একটা আলাদাই মজা আছে। এটিতে বসে, আপনি কোনও একঘেয়েমি ছাড়াই পুরো মজা নিয়ে দুই দিন পর্যন্ত যাত্রা পার করতে পারেন। যদি দেখা যায়, ট্রেন ভ্রমণ শুধুমাত্র সস্তারই নয়, বরং এর মাধ্যমে আমরা সুন্দর সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করতে পারি।

যাইহোক, সাধারণ মানুষের কাছে এই রেলযাত্রা আরও কীভাবে উপভোগ্য করা যায় তার জন্য নিরলসভাবে কাজ করেই চলেছে ভারতীয় রেল (Indian Railways)।এদিকে এই রেল ব্যবস্থা নিয়েই এবার বড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। তিনি মঙ্গলবার এমন ঘোষণা করেছেন যে শুনে সকলেই একদম চমকে গিয়েছেন বৈকি।

   

তিনি জানিয়েছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার পুরী (Puri) ও কোনারকের (Konark) মতো মন্দির শহরগুলিকে যথাক্রমে শ্রী জগন্নাথ মন্দির এবং সূর্য মন্দিরের মধ্যে সংযোগকারী ৩২ কিলোমিটার রেলপথ অনুমোদন করেছে।’ রেলমন্ত্রী বলেন, “পুরী ও কোনারককে রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করার দাবি দীর্ঘদিন ধরে আসছিল। তবে এবার প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পটি অনুমোদন করেছেন। আমরা রেল সম্প্রসারণ আধ্যাত্মিক, ঐতিহ্য এবং উপকূলীয় পর্যটনের করিডোর হিসাবে বিকাশ করব।”

puri konark temple

ভিস্তাডোম ট্রেন

৩২ কিলোমিটার নতুন রেলপথ পাতার জন্য ৪৯২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। রেলমন্ত্রী জানান, ‘আমরা একটি ভিস্তাডোম ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা করছি, একটি অল-ওয়েদার গ্লাস-সিলিং এসি ট্রেন। মানুষ কোচের ভেতর থেকে সুন্দর সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন।’

জমি অধিগ্রহণে রাজ্য সরকারের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ হয়ে গেলে প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। তিনি জানান, প্রকল্পের নকশা প্রণয়নের কাজও প্রায় শেষ। প্রকৃতি উপভোগ করার পাশাপাশি পর্যটকরা এআর (অগমেন্টেড রিয়েলিটি) এবং ভিআর (ভার্চুয়াল রিয়েলিটি) প্রযুক্তির মাধ্যমে ভিস্তাডোম ট্রেনের ভিতরে জগন্নাথ সংস্কৃতির এক ঝলক দেখতে পারেন। পাশাপাশি পুরী-কোনার্ক রুটের তিন-চারটি জায়গায় স্পেশাল হেরিটেজ হাব তৈরির কথাও ঘোষণা করেন রেলমন্ত্রী। এই হাবটি ওড়িশার সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে প্রদর্শন করবে।

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর