আবাস যোজনা নিয়ে কড়া নির্দেশিকা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের! এই ভুল করলেই ভুগতে হবে ফল

সাধারণ দেশবাসীর সুবিধার্থে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government) থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজ্যের সরকার (State Government) কিছু না কিছু পদক্ষেপ নিয়েই থাকে। একের পর এক প্রকল্প এনে সকলের কল্যাণের দিকে মনোনিবেশ করেছে সরকার। তেমনই কেন্দ্রের মোদী সরকারের এক জনদরদী প্রকল্প হল প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (Pradhan Mantri Awas Yojana)। কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যতম উচ্চাভিলাষী প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় সারা দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষকে বাড়ি দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির গন্ধ

তবে এই প্রকল্পকে নিয়ে প্রায়শই কিছু খবর প্রকাশ্যে উঠে আসে। যেমন এই প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে তো কখনও জানা যায় এই প্রকল্পে নাম থাকা সত্ত্বেও অনেকেই বাড়ি পাচ্ছেন না। আবার এই প্রকল্পে বাড়ি তৈরি করা হয়ে থাকলেও সেটা ভোগ করার মতো কেউ নেই। যদিও এই আবাস যোজনা প্রসঙ্গে কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটল কেন্দ্রীয় সরকার। আর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বাংলার ক্ষেত্রে।

   

অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর পরিবারগুলির জন্য সরকার ২০১৫ সালে এই প্রকল্পটি শুরু করেছিল। তবে এ বার পুর-এলাকায় সরকারি আবাস ‘হাউস ফর অল’ বা ‘সবার জন্য বাড়ি’ প্রকল্পে তৈরি বাড়ির ফলকে বাধ্যতামূলক ভাবে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (শহর)-সহ নানা বার্তা লেখার নির্দেশ দেওয়া হল। আর এই নির্দেশিকা পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসেছে পুরসভাগুলি।

আবাস যোজনায় ‘প্রধানমন্ত্রী’ লেখার নির্দেশ

জানা গিয়েছে, নির্দেশ পাওয়ার পরে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ থেকে শুরু করে ইসলামপুর ও ডালখোলা পুরসভা আবাস যোজনার ফলক বদল নিয়ে তৎপরতা শুরু করেছে ইতিমধ্যে। আগে গ্রামীণ এলাকায় সরকারি আবাস যোজনার ফলকে ‘বাংলা আবাস যোজনা’র নাম মুছে ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’ লেখার ঘটনা ঘটেছে।  যদিও এবার এই সকল জিনিস রুখতে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জেলায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের আসার কথা। তার আগে, ফলক বদলে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  যদি এই কাজ না হয়, তাহলে টাকা আটকে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

pmay

এই প্রসঙ্গে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বড় মন্তব্য করেছেন  রায়গঞ্জ পুরসভার পুরপ্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘‘নির্দেশ মতো কাজ হচ্ছে।’’ অনেকেই হয়তো জানেন না, যে শহর অঞ্চলে বসবাসকারী অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল মানুষদের জন্য বাড়ি দেওয়া হয়। এই প্রকল্পে মোট বরাদ্দ তিন লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা। কেন্দ্র দেয় দেড় লক্ষ, রাজ্য দেয় এক লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা। বাকি ২৫ হাজার টাকা প্রকল্পের উপভোক্তাকে দিতে হয়। কানাইয়ালালের দাবি, ‘‘এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ির পাশাপাশি বাংলার বাড়ি লেখা যেতে পারে।’’

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর