লক্ষ্মীর ভাণ্ডার অতীত! এবার মহিলারা পাবেন মোটা টাকা, বাজেটে বড় ঘোষণা কেন্দ্র সরকারের

বাংলায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Lakshmir Bhandar) মতন প্রকল্পে এনে সকলকে চমকে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government Of West Bengal)। এই প্রকল্পের আওতায় বাংলার মহিলাদের স্বনির্ভর করে তুলতে মাসে মাসে ৫০০ টাকা , ১০০০ টাকা করে দেওয়া হয়। এদিকে এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আদলে দেশের বেশ কিছু রাজ্যে প্রকল্প চালু করা হয়েছে।

তবে এবার ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে বড়সড় মাস্টারস্ট্রোক দিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। মূলত এবার হাজার টাকা নয়, এবার লাখ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা করল মোদী সরকার। আর এই টাকা পাবেন শুধুমাত্র মহিলারা। শুনে চমকে গেলেন তো কিন্তু এটাই দিনের আলোর মতন সত্যি।

   

আজ বৃহস্পতিবার সংসদে অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এবারের বাজেটে নারীদের জন্য অনেক বড় বড় ঘোষণা হচ্ছে। এই বাজেট উপস্থাপনের সময় নির্মলা সীতারমণ ‘লাখপতি দিদি’ (Lakhpati Didi) প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেছেন, যার পরে এই প্রকল্পটি সারা দেশের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। মহিলাদের আর্থিকভাবে ক্ষমতায়নের জন্য, কেন্দ্রীয় সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ শুরু করেছিল।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৫ আগস্ট ২০২৩ তারিখে লাল কেল্লায় দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় এই লাখপতি দিদি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেছিলেন। এই প্রকল্পের অধীনে, দেশের মহিলারা আর্থিকভাবে সক্ষম হবেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে, মহিলাদের জন্য কর্মশালা করা হবে যেখানে তাদের আর্থিক সম্পর্কে বলা হবে। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল মহিলাদের ক্ষমতায়ন।

money wonen

এই কর্মশালাগুলি বাজেট, সঞ্চয়, বিনিয়োগ এবং আর্থিক উপকরণগুলি বোঝার মতো বিষয়গুলি কভার করে। লাখপতি দিদি প্রকল্পের আওতায় মহিলাদের নিয়মিত সঞ্চয় থেকে নিয়মিত সঞ্চয়ে যেতে উৎসাহিত করার জন্য প্রণোদনা দেওয়া হয়। লাখপতি দিদি প্রকল্পের অধীনে, উদ্যোক্তা শিল্প, শিক্ষা বা অন্যান্য প্রয়োজনে মহিলাদের ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়া হয়।

এই প্রকল্পের অধীনে, মহিলাদের ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং পরিষেবা, মোবাইল ওয়ালেট এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার শিখতে উত্সাহিত করা হয়। আর্থিক সুবিধাগুলি ছাড়াও, এই প্রকল্পটি বিভিন্ন ক্ষমতায়ন কর্মসূচির মাধ্যমে মহিলাদের আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার দিকেও দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। সামগ্রিকভাবে, এই প্রকল্পের পিছনে ধারণাটি হ’ল এই মহিলাদের ব্যক্তিগত এবং পেশাদার জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর